খবর দবর:- Astrology হিন্দু ধর্মে যে কোনও পুজো বা বিয়ের মতো শুভ কাজ করার আগে শুভ দিন-ক্ষণ দেখে নেওয়া হয়। কারণ, শুভক্ষণ বা দিনের পাশাপাশি অশুভ দিকও রয়েছে। তাই শুভ কাজ যাতে পন্ড বা বিঘ্ন না হয়, সেই দিকেও লক্ষ্য রাখা হয়। সেই সময় কোনও বিশেষ কাজ করা অশুভ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্রে পঞ্চককে অত্যন্ত অশুভ মনে করা হয়। পঞ্চকের পাঁচ দিনে শুভ কাজ করা নিষেধ। পঞ্চক প্রতি মাসে সংঘটিত হয়। বিভিন্ন প্রকারের পঞ্চক হয়। যেমন রোগ পঞ্চক, রাজ পঞ্চক, অগ্নি পঞ্চক, মৃত্যু পঞ্চক ও চোর পঞ্চক।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মৃত্যু পঞ্চক। বিশ্বাস করা হয় যে মৃত্যু পঞ্চককালে কারো মৃত্যু হলে, তার পরিবারে কষ্টের সীমা থাকে না। মৃত্যু পঞ্চক কবে থেকে শুরু ? এই সময় কী করবেন আর কী করবেন না, জেনে নিন বিস্তারিত- শাস্ত্র অনুযায়ী, মৃত্যু পঞ্চক শুরু হচ্ছে ১৩মে থেকে। এদিন সকাল ১২টা ১৮ মিনিটে শুরু হয়ে ১৭ মে, সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে শেষ হবে।
কী এই মৃত্যু পঞ্চক ?
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যখনই শনিবার থেকে পঞ্চক শুরু হয়, তাকে মৃত্যু পঞ্চক বলা হয়। এই পঞ্চক মৃত্যুর মতই কষ্টকর। তাই এই সময়ে একটু সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মোট ২৭ টি নক্ষত্র রয়েছে। এর মধ্যে শেষ পাঁচটি নক্ষত্র- ধনীষ্ঠা, শতভীষা, পূর্বাভাদ্রপদ, উত্তরভাদ্রপদ এবং রেবতী নক্ষত্রের সমন্বয়কে পঞ্চক বলা হয়। এই পাঁচটি নক্ষত্রর জোট অশুভ। চন্দ্র যখন কুম্ভ ও মীন রাশিতে গমন করে তখন পঞ্চক গঠিত হয়।
Astrology গঠিত হচ্ছে ‘মৃত্যু পঞ্চক’! এই সময় কোন কাজ ভুলেও করবেন না, জেনে নিন।
কোন কোন কাজ করবেন না মৃত্যু পঞ্চকে:
মৃত্যু পঞ্চকের পাঁচ দিনে ছাদ তৈরি, খাট তৈরি, দক্ষিণ দিকে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। পঞ্চকের প্রভাবে বিবাদ, আঘাত, দুর্ঘটনা ইত্যাদির আশঙ্কা থাকে। বিশ্বাস করা হয়, এই পঞ্চকে একজনের মৃত্যু হলে একই গ্রামে আরও ৫ জনের মৃত্যু হবে। তাই পঞ্চক-এ মৃত্যু হলেই বিশেষ আচার-অনুষ্ঠানের পর মৃতদেহের সৎকার করা হয়।
কী কী করবেন মৃত্যু পঞ্চকে:
মৃত্যু পঞ্চককালে কারও মৃত্যু হলে তার দেহ দাহ করার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচটি কুশের প্রতিমা তৈরি করে শেষকৃত্য করার বিধান রয়েছে। এর ফলে পঞ্চকের অশুভ ফল এড়ানো সম্ভব।