পুরাণকাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত হলুদ কে শুভ বলে ভাবা হয়। এই হলুদের গুনাগুন শুধু শারীরিক সমস্যার নিরাময় এর কাজ করে তা নয়, হিন্দুদের বিভিন্ন উপাচারে হলুদ ব্যবহৃত হয় কারণ হলুদ হলো ঐশ্বরিক গুণাবলিপূর্ণ। কাচা হলুদ একপ্রকার প্রতিষেধক।মাঙ্গলিক কাজে হলুদ একটি অন্যতম অঙ্গ। যা ছাড়া ধর্মীয় কার্যকলাপ প্রায় অসম্পূর্ণ বলা যায়। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রকম ঔষধ তৈরিতে হলুদ একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ।
অবশ্য হলুদ এর আরেকটি বিশেষ দিক হলো যে এটি ভাগ্য ফেরাতেও সক্ষম। বৃহস্পতির সঙ্গে সম্বন্ধ যুক্ত বলে মনে করা হয় এই হলুদকে।বিশেষ গুণাবলী সম্পর্কিত হলুদ কিভাবে মানুষের সুখ স্বাছন্দের প্রবর্তক রূপে ভরিয়ে তোলে বা তার কার্যকর দিক গুলি কি কি চলুন জেনেনি।
বাড়ির চারিদিকে যদি হলুদের দাগ কেটে রাখা হয় বা হলুদ এর রেখা এঁকে রাখা যায় তাহলে অপশক্তি ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না। ইভিল পাওয়ার কে প্রতিরোধ করে হলুদ। বিয়ের আগে যে হলুদ লাগানোর রীতি আছে পাত্র পাত্রীর অঙ্গে তার কারণ হলো কোনো প্রকার অশুভ প্রভাব যাতে তাদের কাছে আসতে না পারে। বিয়ের মতো শুভ কাজের ওপর যেন কোনো নেতিবাচক দৃষ্টি না আসে তাই হলুদ দিয়ে স্নান করানোর আচার মানা হয়।
বৃহস্পতি গ্রহের শুভ রং হলুদ কে মনে করা হয়। হলুদ লাগালে বৃহস্পতি সন্তুষ্ট হয় এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পুজো শুরুর আগে কাঁচা হলুদের ছোট দাগ গলাতে বা কব্জি লাগানো হয়। হলুদের তিলক কপালে লাগানো বিয়ের মতো শুভ কাজের জন্য খুবই ভালো। বিয়ের নিমন্ত্রণ কার্ড এর ওপরেও হলুদের এর দাগ লাগানো হয় বিশেষ মঙ্গল সূচক কারণ রূপে।
হলুদ দানের ক্ষেত্রেও খুব উপকারী। হলুদ দানে শারীরিক সমস্যার উন্নতি ঘটে। সুস্বাস্থ্য কে ফিরিয়ে আনার জন্য হলুদ দান করা ভালো। মন্ত্র জপের সময় হলুদের জপমালা মনের ইচ্ছা পূরণ কাজ করে। হলুদের শুভ প্রভাব বিভিন্ন অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা করে।