আমাদের দেশের জাতীয় পাখি ময়ূর। তার রূপের একটি বিশেষ অঙ্গ পেখম। এই পেখম টি পালক দিয়ে সুসংগঠিত থাকে। ময়ূর এর শোভা বর্ধনকারী এই পালক কে বিশেষ মঙ্গলসূচক চিহ্ন ও শুভ বলে মনে করা হয়। যে কোনো শুভ কাজে ময়ূর এর পালক ব্যবহৃত হয়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের মস্তকে এই পালক সুসজ্জিত থাকতো। অনেকেই বাড়িতে ময়ূর এর পালক রাখতে পছন্দ করেন। মনে করা হয় এটি বাড়িতে থাকলে অনেক প্রকার বাধা বিঘ্ন কেটে যায়। শুভ ফলপ্রদানকারী এই পালক বাড়িতে রাখা খুবই লাভদায়ক। ময়ূর এর পালক গৃহের সৌভাগ্য বহন করে আনতে সক্ষম। আসুন জেনে নিই ঠিক কি কি উপকারে লাগে ময়ূর এর পালক।
তাবিজ বা মাদুলি তে ময়ূর এর পালক ভরে সেটি বাচ্চাদের পরানো হয়। কারণ এই মঙ্গলসুচক পালক কুদৃষ্টি, নজর ও অপশক্তি থেকে রক্ষা করে।
বাড়িতে ময়ূর এর পালক যেমন বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ঠিক সেরকম ভাবেই এই পালক আপনার আর্থিক মুনাফার কারণ হতেও সক্ষম। অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হিসাবে এটি খুবই গুরত্বপূর্ণ।
আরো একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি অর্থলাভ ঘটতে পারেন। কোনো একটি মন্দিরে রাধা কৃষ্ণের চুরার জন্য ময়ূরের পালক দান করুন। ঠিক চল্লিশ দিন পর সেই পালক বাড়িতে এনে নিজের টাকা রাখার জায়গা তে ওটা রেখে দিন। এটি আর্থিক দিক দিয়ে খুবই শুভ।
যে কোনো অপশক্তি বা নেতিবাচক শক্তি রুখতে কার্যকরী এই পালক। বাড়ির ঢোকার সদর দরজা তে তিনটি ময়ূর এর পালক রেখে দিলে সর্ব প্রকার অশুভ প্রভাব ভিতরে আসতে পারবে না।
গ্রহের ফের কাটাতে গঙ্গাজল ছিটা দিয়ে ময়ূর এর পালক হাতে নিয়ে একুশবার গ্রহ শান্তির মন্ত্র উচ্চারণ করে সেটি একটি উঁচু জায়গায় রেখে দিন।
মঙ্গল ও শনিবার পালক দিয়ে বজরংবলী কে সিঁদুরের ফোঁটা দিন ও সেই পালক টি কে পরেরদিন নদী বা কোনো জলাশয়ে ভাসিয়ে দিন। মনে করা হয়ে থাকে এর ফলে শত্রুনাশ হয়।
ময়ূর এর পালক সম্বৃদ্ধি বয়ে আনে। এবং সংসার এ শুভ ফল পাওয়া যায়।