বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনে খুবই গুররুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বাস্তুশাস্ত্র। বাস্তুদোষ টেনে আনতে পারে বহু ক্ষয় ক্ষতি। বাস্তুর কুপ্রভাব অপশক্তি ও নেতিবাচক শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে, নিয়ে আসে বিপর্যয়। সঠিক বাস্তু শাস্ত্রের প্রয়োগের ফলে ঘরে বিরাজ করে ইতিবাচক শক্তি। যে বাড়িতে বাস্তুদোষ রয়েছে সেখানে অশুভ নেতিবাচকতা ঘিরে থাকে।
বাস্তু দোষ ও কুনজর এর ফলে স্বাস্থ্যহানি, মানুষে মানুষে বিবাদ, অর্থনৈতিক সমস্যা, সর্ব কাজে বাধা বিঘ্ন, বাড়িতে বসবাস করা পরিবারের সঙ্গে সম্প্রীতির অভাব, বলা ভালো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনধারণ কে প্রতিকূল পর্যায় নিয়ে চলে যায়। উন্নত ও সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে কিছু বাস্তু বিধি মেনে চললেই আপনি হাতে নাতে পেতে পারেন সুফল। কি সেই বাস্তুদোষ থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় ??
বাস্তুর শুভ প্রভাব পেতে পিরামিড ব্যবহার করা খবুই উপযোগী। বাস্তুবিদরা এমনই মনে করে থাকেন। পজেটিভ শক্তি বাড়িয়ে বাড়িকে নেগেটিভ প্রকোপ থেকে সরিয়ে রাখতে কিছু সহজ উপায়ের নিয়ম দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে বাড়ির প্রবেশদ্বার অর্থাৎ দরজার মাথার উপর আম পল্লবগুলি একত্রে বেঁধে সারি দিয়ে সুন্দর করে ঝুলিয়ে রাখুন, যার শুভ প্রভাব আপনার ঘরে অশুভ শক্তির ঢুকতে বাধা দেবে এবং শুভশক্তির মজুত রাখবে। বাড়ির শুদ্ধিকরণের জন্য গঙ্গা জলপূর্ণ একটি ঘট রাখতে পারেন বাড়ির চৌকাঠে। এটিকে বাড়ির মাঙ্গলিক সাংকেতিক চিহ্ন রূপ বলা হয়ে থাকে। বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনে সিন্দুর দ্বারা একটি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে রাখাকে বাস্তুশাস্ত্রে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়েছে। যার ফলে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি গৃহে প্রবেশের জন্য বাধাপ্রাপ্ত হয়।
বাড়ির প্রবেশপথে মা লক্ষ্মীর পদচিহ্ন বা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি সুন্দর ছবি আপনার বাড়ির পরিবেশকে সজীব, শুভ শক্তি সঞ্চারণ রাখতে সক্ষম। এবং বলা হয়ে থাকে এই ছবিগুলি সমৃদ্ধির উন্নতি লক্ষণ।
বাড়ির পুজো স্থানে মা লক্ষ্মীর সামনে মঙ্গল রুপি রুপোর কয়েন এবং একটি নারকেল রেখে পুজো করা খুবই শুভ মনে করা হয়ে থাকে। রুপো একটি শ্রেষ্ঠ ধাতু পূজার্চনার ক্ষেত্রে তাই নিজের বাস্তুর উত্তরোত্তর উন্নতি বৃদ্ধির জন্য এই উপদেশ গুলি খুবই কার্যকরী।