ফের অকালে ঝরে গেল আরও এক নক্ষত্র। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সংগীতশিল্পী কে কে। নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান করছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকাই অস্বস্তি বোধ করেন। এরপর অনুষ্ঠান শেষ করে গ্র্যান্ড হোটেলে ফিরে যান। সেখানে অসংখ্য অনুরাগী তাকে ঘিরে ধরেন ছবি তোলার জন্য। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে এতটাই অসুস্থ বোধ করেন যে, কারও আবদার মেটানো তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। হোটেলের ঘরে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। চিকিৎসকরা কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে মৃত ঘোষণা করেন। তার এই মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। বুধবার ময়নাতদন্ত হবে গায়ক কেকের। তবে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে ময়নাতদন্ত নাও হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বলিউড কাঁপানো এই গায়কের বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর।
বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন। হিন্দিতে ২০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন।
কেকের প্রথম অ্যালবাম ‘পল’ বেশ জনপ্রিয় হয়। ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়’ গানটি এখনও তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে শোনা যায়। সিনেমার গানে তাঁর সফর শুরু হয় এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায়।
বলিউডে তাঁর ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ গান রীতিমতো সাড়া ফেলেছিল। তাঁর কণ্ঠে ‘তড়প তড়প কে’ গানটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তারপর থেকে একের পর এক ‘হামরাজ’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘দশ’, ‘জন্নত’, ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’র মতো সিনেমায় গান গেয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতেও গান গেয়েছেন কেকে। শিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত সংগীত জগৎ। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার কলকাতায় আসছেন শিল্পী পরিবার।