– উপকরণ –
একটি গোটা ভালো সাইজের হাঁস, পিয়াজ (বড়ো মাপের পাঁচ ছয়টি ), আদা বাটা, রসুনবাটা, টমেটো, গোলমরিচ গুঁড়ো, কাঁচালঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, গোটা সাদা জিরে, নুন, চিনি, শুকনো লঙ্কা তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, (দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ ) তেজপাতা, লাল নোটে শাক বাটা, গুঁড়ো গরম মশলা।
– পদ্ধতি –
একটি গোটা হাঁস কে ভালো করে ছাল ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে। হাঁসের গায়ে খুব বেশি পরিমানে পশম থাকে। যেগুলিকে খুব ধীরে সুস্থে এবং আস্তে আস্তে সময় নিয়ে হাঁসের থেকে আলাদা করতে হবে। হাঁসটির লোম বেচে ফেলে ভালো করে গোটা হাঁসটিকে জলে ডুবিয়ে ধুতে হবে। তারপর ওই গোটা হাঁসটিকে ভালো করে আগুনে খুব ভালো করে পোড়াতে হবে। যাতে হাঁসের আর গায়ে লেগে থাকা পশমগুলো পুরোপুরি ঝরে যায় এবং একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। তারপর হাঁসটিকে মাংসর আকারে পিস করে কাটতে হবে এবং কাটার পর মাংস গুলিকে খুব ভালো করে জলে বেশ কয়েকবারে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর কড়াইয়ে বেশ খানিকটা পরিমান মতো সরষে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে তারমধ্যে তেজপাতা গোটা শুকনো লঙ্কা গোটা গরম মশলা (দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ) সাদা জিরে দিয়ে একটু নড়াচড়া করতে হবে। এরপর কুচিয়ে রাখা পিয়াজ, কড়াইয়ে দিয়ে বেশ খানিকটা বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত নাড়াচাড়া করে ভাজতে হবে।
পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে গেলে তারমধ্যে একটু বেশি পরিমানে আদা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ( জিরে গুঁড়ো বড় চামচে দুই চামচ দিলে ধনেগুঁড়ো এক চামচ দিতে হবে ), টমেটো কুচি পরিমান মতো, নুন সামান্য পরিমাণ, চিনি দিয়ে ভালো করে কোষতে হবে।
মশলা খুব ভালো করে কষানোর পর তার মধ্যে মাংসের টুকরোগুলো দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে। এবারে ওই কষা মাংসের মধ্যে প্রয়োজন মত চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে বেশ ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে। কষতে কষতে মাংসের থেকে যখন তেল ছাড়তে শুরু করবে তখন মাংসটাকে রান্নার নাম অনুসারে কালো রং আনতে এরমধ্যে আগে থেকে ধুয়ে বেটে রাখা লাল নোটে শাক মাংসের মধ্যে দিয়ে বেশ ভালো করে করতে কোষতে হবে। দেখা যাবে মাংসের রং ধীরে ধীরে কালো হতে শুরু করেছে। একটা সুন্দর কালচে রঙের আকার নেবে পুরো মাংসটা।
কিছুটা কিছুটা করে জল দিয়ে ঢেকে ঢেকে পুরো মাংসটা কে রান্না করতে হবে। একটু বেশি পরিমাণে এই হাঁসের মাংস রান্না করার জন্য জল লাগে কারণ এই মাংস টি সেদ্ধ হতে একটু বেশি সময় নেয়। মাংসটা যতক্ষণ পর্যন্ত সুসিদ্ধ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটি ভাল করে রান্না করতে হবে। যখন মাংস টা তেল-মসলায় মাখামাখি হয়ে পুরো সিদ্ধ হয়ে যাবে মানে কষা কষা ব্যাপারটা চলে আসবে তখন মাংস খাওয়ার জন্য একদম তৈরি।
নামানোর আগে একটু গোলমরিচ ও গোটা গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে দু মিনিট ঢেকে রাখুন। এর ফলে মাংস টির মধ্যে একটা সুন্দর গোলমরিচ গরম মসলার গন্ধ ভরপুর হয়ে উঠবে। এভাবেই একদম তৈরি হয়ে যাবে আপনার প্রিয় হাঁসের কালা কষা।
– প্রয়োজনীয় তথ্য –
- হাঁসের গা থেকে লোম আলাদা করতে গোটা হাঁসটিকে পোড়ানো অবশ্যই দরকার।
- হাঁসের মাংস রান্না করার জন্য একটু বেশি পরিমাণে মশলা লাগবে অন্যান্য মাংসের তুলানায়।
- হাঁসের মাংস সিদ্ধ হতে বেশ খানিকটা সময় নেয়, তাই কষানোর পর বেশ খানিকটা জল দিতে হবে ভাল করে সিদ্ধ করার জন্য। তারপর মাংসটা সুসিদ্ধ হওয়ার পর জলটা শুকানো পর্যন্ত রান্না করতে হবে। তারপর নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন আপনার প্রিয় ভাত রুটি পরোটা যা কিছুর সাথে।
- ’83 মুভি রিভিউ: রণবীর সিং এই উপভোগ্য ছবিতে ভারতকে তার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জয়ে নিয়ে গেছেন | সিনেমার খবর
- ‘KBC 13’: অভিনেতা হওয়ার আগে অক্ষয় কুমার কীভাবে গয়না বিক্রি করতেন তা মনে করে | টেলিভিশন সংবাদ
- ‘KGF চ্যাপ্টার 2’ BO কালেকশন চার দিনে 550 কোটি, বিশ্বব্যাপী 2য় সর্বোচ্চ উপার্জনকারী
- ‘KGF: অধ্যায় 2’ – রাম চরণ এবং শিবরাজ কুমার তেলুগু এবং কন্নড় ট্রেলার উপস্থাপন করবেন | আঞ্চলিক খবর
- ‘Ray’ – Web Series Review by Suneet Adhikary
- ‘RRR’-এর পর প্রভাস, পূজা হেগড়ে-এর ‘রাধে শ্যাম’ মুক্তি কি পিছিয়ে দেবে? ডিট চেক করুন | আঞ্চলিক খবর