The Academy of Fine Arts Release Update: ছাত্রপ্রকল্প দাবি ও প্রযোজকের সম্পৃক্ততা ঘিরে তীব্র বিতর্ক
কলকাতায় বহুল প্রচার পাওয়া ছাত্রনির্মিত ছবি ‘দ্য একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’–এর মুক্তি শেষ মুহূর্তে থমকে গেল। ছবির সঙ্গে যুক্ত পরিচালক, শিল্পী ও প্রযোজকের দাবি, কিন্তু প্রযুক্তিবিদদের ফেডারেশনের অভিযোগ—এই দুইয়ের টানাপোড়েনে আটকে গেছে ছবির ভবিষ্যৎ। এ নিয়ে নতুন করে জোরদার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে the Academy of Fine Arts release update বিষয়টি।
ফেডারেশনের আপত্তিতে থমকাল মুক্তি
রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকার, সৌরভ দাসসহ একাধিক জনপ্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে SRFTI-এর ছাত্র জয়বরত দাস পরিচালিত এই ছবি ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। শহরজুড়ে প্রচারও শুরু হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই প্রযুক্তিবিদ ফেডারেশন অভিযোগ তোলে—ছবিটিতে টলিউডের পেশাদার টেকনিশিয়ানদের ব্যবহার করা হয়নি, অথচ এটি নাকি বাণিজ্যিক মুক্তির পরিকল্পনা করছে।
পরিস্থিতি ঘিরে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পরিচালক, প্রযোজক প্রতীক চক্রবর্তী, EIMPA চেয়ারপার্সন পিয়া সেনগুপ্ত ও ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট স্বরূপ বিশ্বাসকে বৈঠকে ডাকেন। কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলেই জানা গেছে।
ছাত্রপ্রকল্প নাকি বাণিজ্যিক ছবি? বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
পরিচালক জয়বরত দাসের বক্তব্য, “২০২১ সালে সীমিত আর্থিক সাহায্যে ছবিটি বানানো হয়েছিল। এটি পুরোপুরি ছাত্রদের প্রকল্প, তাই ফেডারেশনের টেকনিশিয়ান নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।”
কিন্তু ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট স্বরূপ বিশ্বাস প্রশ্ন তোলেন, “যে ছবির বাজেট আছে, যার মুক্তি বাণিজ্যিক ভাবে পরিকল্পিত—সেখানে টলিগঞ্জের পেশাদার টেকনিশিয়ানরা যুক্ত হলেন না কেন?”
EIMPA সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তও জানান, সেন্সর সার্টিফিকেটে যেহেতু প্রযোজকের নাম রয়েছে, তাই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। “ছাত্রছবি বললে সমস্যা নেই, কিন্তু প্রযোজক থাকলে সেটি ছাত্রপ্রকল্প হিসেবে গণ্য হবে কীভাবে—এটি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন,” তিনি বলেন।
অভিনেতাদের দাবি—স্বাধীন চলচ্চিত্রকে বাধা দেওয়া হচ্ছে
অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “আমরা সবাই বন্ধুর মতো অংশ নিয়েছিলাম, কোনও বাণিজ্যিক লাভের জন্য নয়। পরে পোস্ট-প্রোডাকশনে সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন প্রযোজক প্রতীক চক্রবর্তী। সেই কারণেই তাঁর নাম ‘প্রযোজক’ হিসেবে যোগ করা হয়—এটা ছাত্রছবিতে সাধারণ ব্যাপার।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সেন্সর সার্টিফিকেট পাওয়ার পর কোনও ছবিকে আটকে দেওয়ার নিয়ম নেই। মনে হচ্ছে, ছাত্র বা স্বাধীন ছবির সাফল্য কিছু মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।”

পরিচালকের হতাশা—‘মুক্তি হবে কি না জানি না’
পরিচালক জয়বরতের কথায়, “আমরা এখন সম্পূর্ণ অন্ধকারে। ফেডারেশন প্রতীকদার সঙ্গে বৈঠক চেয়েছে। তার পরেই ঠিক হবে ছবির ভাগ্য। আমরা জানিই না ছবি আদৌ মুক্তি পাবে কি না।”
ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার একটি বড় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত হলেও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়নি, যা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।







