অধিকাংশ মানুষই সকাল হতে না হতেই নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে মাথায় চেপে বসে হাজারো চিন্তা। এই পরিস্থিতিতে মস্তিষ্ককে সুস্থ স্বাভাবিক রাখা খুবই কঠিন। তার জন্য চাই প্রকৃত খাবার। কীভাবে আপনি আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ ও সক্রিয় রাখবেন- সে বিষয়ে রইল কিছু খাবারের তালিকা।
১. ডার্ক চকোলেট-
প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
২. আখরোট-
আখরোটে অন্যান্য বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা মস্তিষ্ককে যেকোনও রোগ থেকে দূরে রাখে।
৩. টমেটো-
এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো।
৪. স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ-
সামুদ্রিক মাছ যেমন- স্যামন, টুনা ও অন্য সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আলজইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৫. গ্রিন টি-
গবেষকরা বলছেন, গ্রিন টি মস্তিষ্কের সংযোগ ক্ষমতা বাড়ায়, সেই সাথে পারকিনসন্স ও স্মৃতিভ্রংশের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনি ছাড়া দিনে অন্তত তিন কাপ সবুজ চা পান করতে পারেন। এটি আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী।
৬. ব্লু বেরি-
বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা বাড়াতে ব্লু বেরির জুড়ি নেই। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এ ছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে এটি। পারকিনসনস আ আলজfইমার থেকেও রক্ষা করে ব্লু বেরি।
৭. পালংশাক-
পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের সংযোগ শক্তি বৃদ্ধি পাশাপিশি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের সম্ভাবনা থাকে আমাদের রক্ষা করে।