প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট থাকা খুব জরুরী।তবে একঘেঁয়ে বা স্বাদহীন খাবার খাওয়াটা খুবই কষ্টকর। রোগা ছিপছিপে থাকটা তো এখন মারাত্বক ভাবে প্রায়োরিটি পায় সব এজের মানুষের মধ্যেই, সব থেকে বেশি ইয়াং জনারেশন এর কাছে। ফিট থাকার জন্য কম মশলাযুক্ত খাবার নেওয়ার সাথে সাথে মিল ডিভিশন টাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো এই সব কিছুকে মাথায় রেখেই প্রতিদিনের খাবার টা এনজয় করে খেতে হবে। তাই সকাল শুরু হোক টেস্ট এর বেস্ট দিয়ে।
দিনের শুরু
সকালের মিলটা একটু ভারী হওয়া খুব দরকার। কয়েকটা আমন্ড বাদাম চিবোতে চিবতেই সকল কে সুপ্রভাত টা জানিয়ে ফেলুন। নিত্যনতুন টেবিল সাজানো থাকলে মনটা এমনই ভালো হয়ে যায়। সেই মতই একদিন ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলুন টোস্ট অমলেট অথবা এগ স্কেমব্রেল বা এগ বয়েল দিয়ে। খুব অসুবিধা না থাকলে এক একদিন কুসুম টা ইগনোর করা যেতেই পারে। সি সল্ট আর ব্ল্যাক পেপার এর কম্বিনেশন টা ডিমের সাথে ফাটিয়ে যায়। সকালে একদমই ভুলে যান চিনির দানা কে।প্রয়োজনে মধু নিতেই পারেন। কোনোদিন আবার হয়ে যাক ডাবল টোন দুধ সাথে ফ্যাট ফ্রী কনফ্লেক্স। মন চাইলে ব্লুবেরি দিয়ে সাজিয়ে নিন দুধ কর্নফ্লেক্স এর বোল টা। মাঝে মধ্যে সাথে থাকুক ধোসা, ইডলি। যেমন ভরপেট তেমন পুষ্টিকরও। কোনোদিন আবার নোনতা পোহা থাকতেই পারে। সবুদানার খিচুড়ি কিন্তু ব্রেকফাস্ট জমিয়ে দিতে ওস্তাদ।চিকেন সসেজ বয়েল করে ব্ল্যাক পেপার দিয়ে সাথে সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ আর কয়েক টুকরো সশা। আবার যে কোনোদিন কিন্তু মুগকড়াই এর মধ্যে সবজি সেদ্ধ একটু কাসৌরি মেথির ফ্লেভারের টাচ। উফফফ ফ্যান্টাস্টিক জলখাবার। গ্রীন টি বা লিকার চা বাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, চা ভক্ত মানুষদের কাছে। ওটা না হলে তো ইনকমপ্লিট ব্রেকফাস্ট। ইচ্ছা হলে লেবু চা ও নিতে পারেন, মন টা পুরো ঝকঝকে করে দেয়ার বিশেষ ক্ষমতা রাখে এই পানীয় টি। তবে চিনি নৈব নৈব চ।
দুপুর ও বিকালের ভোজন
লাঞ্চ টা চাইলে একটু ভারী হতেই পারে। ভাত (সামান্য), সবজি – (সিসেনাবল সাথে আপনার পছন্দমত) শাক, ডাল (এক এক দিন এক এক রকমের, যাতে স্বাদের অদলবদল হয়)। মন চাইলে অল্প ভাতের সাথে একটা রুটি ও কিন্তু জবরদস্ত মিল কমপ্লিট করতে, মাছ বা চিকেন যে কোনো একটি আইটেম। ফিশের একটু অন্যরকম টেস্ট পেতে হলে সি ফিশ কে তন্দুর করে নিতেই পারেন লাঞ্চ এ। আবার চিকেন এর অজস্র প্রিপারেশন কে আপনার মনের মত ডায়েট এর উপযোগী করে বানিয়ে নিলেই টেস্ট এর কমতি হবে না কোনোভাবেই। সালাদের বাটি কিন্তু মাস্ট। তেল বা মাখন ব্যাবহার করার সময় একটু কৃপণ হলে সাস্থ্য টা সম্পদ হয়ে দীর্ঘদিন আপনার সঙ্গত করবে। সর্বঘটের কলা টি মানে প্রিয় আলু টিকে যত কম দেখা যাবে আপনার প্লেটে ততই ভালো। আল্টিমেট খাদ্য হোক আনন্দের অথচ সহজপাচ্য।
একটু বেলা গড়াতেই ফ্রুটসালাদ ওপরে হানির প্রলেপ দিয়ে বা টক দই এর সাথে পছন্দমত ফলের টুকরো একটু গোলমরিচ ছড়িয়ে। দারুন টেস্টি।
যত দিন ফুরাবে ততই খাবারের পরিমাণ কমতে থাকবে আর হালকা হবে। বিকালের দিকে চা এর সাথে যে কোনো সুগারফ্রী ডাইজেস্ট বিস্কুট দু চারটে চিবিয়ে নিন কড়মরিয়ে। বা কচি ভুট্টা পোড়ানো, মাখনাও নিতে পারেন। চাইলে বেনানা চিপস এক একদিন মাঝে মধ্যে খুব ইচ্ছা করলে চলতেই পারে। আফটারঅল টেস্ট এর খেয়াল রাখতে হবে শরীরের পাশাপাশি
রাতের ভোজন
ডিনার স্বাভাবিক ভেবেই লিকুইড নেওয়াটাই উচিৎ সন্ধ্যে আটটার মধ্যে। যদি সলিড নিতেই হয় তো ভাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করুন। একটা রুটি, সবজি বা চিকেন স্ট্রু, ডাল সিদ্ধ, উষ্ণ দুধ এই দিয়েই সেরে ফেলুন রাতের খাবার দাবার।
সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল, ফ্রুট জুস, ডাবের জল এগুলো ভরাতে থাকুক আপনার পেট, সাথে মন ও।
অবশ্য হতেই পারে এক একদিন একটু অন্যরকম রুটিন। স্পাইসি জাঙ্ক ফুড। বেশ তো হোক না ! নিজেকে আটকে রাখার কোনো মানেই হয় না এসব ক্ষেত্রে। তবে সেটা হোক লিমিটেড । শরীর ও মন কে এডজাস্ট করে চলার ক্ষমতা সে তো আপনারই কব্জি তে ।
- Writing an Academic Research Paper
- How To Choose The Best Paper Writing Service For The Term Papers?
- Research Paper Service
- 4 Great Benefits of Academic Term Papers by an Expert Writer
- Custom Research Paper – Three Things to Avoid
Author: Anol A Modak
Film Maker, Writer, Astrologer, Vastu Consultant, Hypnotherapist, Entreprenuer