দাঁত মুখের সৌন্দর্য্য অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে, শুধু তাই নয়, আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেয় ঝকঝকে দাঁত। অনেকেই দাঁতে হলদে কিংবা কালচে দাগের সমস্যায় ভোগেন। বেশ কিছু বদঅভ্যাসের কারণেই এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকে দুইবেলা ব্রাশও করেন। তারপরও রক্ষা পান না। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে চললে দ্রুত এই সমস্যা দূর করা যায়।
আসুন দেখে নি কিভাবে আমরা ঘরোয়া কিছু উপায়ে সুন্দর ও সুস্থ্য দাঁত পেতে পারি …
- পান, বিড়ি বা সিগারেট বা পান-মশলা জাতীয় কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকলে মাড়ির সমস্যা, দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দাঁত সুস্থ রাখতে হলে এগুলো এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনিয় ।
- জলে আয়রনের কারণেও দাঁত লালচে হলুদ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে একাধিকবার ব্রাশ করা আর লেবুর খোসা দাঁতে ঘষলে এ জাতীয় দাগ মিলিয়ে যায়।
- ‘কার্বনেট’ করা কোল্ড ড্রিংক পান করা বাদ দিয়ে বা যতটা সম্ভব কমিয়ে দাঁতে ক্ষতিকারক অ্যাসিডের প্রভাব কমান, কেননা তা দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দাঁতের ক্ষয় করে ।
- লেবু খাওয়ার পর খোসা ফেলে না দিয়ে ভালো করে দাঁতে ঘষে নিন। এতেও দাঁতের অনেক ময়লা কেটে যাবে ও দাঁত থাকবে চকচকে।
- খাবার সোডা দিয়ে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন দাঁত ঘষুন এতে দাঁত ঝকঝক হবে।
- কলার খোসার সাদা দিকটি দিয়ে নিয়মিত দাঁতে ঘষলে দাঁতের হলদে ভাব অনেকটা দ্রুত কেটে যায়।
- স্কেলিং করলে দাঁতের হলুদ ভাব চলে যায় ঠিকই, কিন্তু একের বেশিবার স্কেলিং করা উচিৎ নয়।
- মুখের ভেতরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং মাড়ির রোগ সারাতে ভাল ভূমিকা রাখে চা। তবে, সেটা দুধ-চিনি দেওয়া চা কখনই নয়। ব্ল্যাক-টি বা লিকার চা এর জন্য ভালো। প্রতিদিন এমন চা দাঁতের জন্য উপকারী ।