Kolkata Auction House: ইতিহাসের আঁকাবাঁকা পথ ধরে কলকাতায় গড়ে উঠেছিল কত অকশন হাউস। গ্র্যান্ড পিয়ানো, সাদা পাথরের মূর্তি, ব্রিটিশ কাটলারি, শাহি সাজটেবিল, বেলজিয়াম কাচের আয়না, পুরনো হাতঘড়ি, মিশরীয় পেন্টিং, ডিনার সেট, কারুকাজ করা দাবার বোর্ড, দেরাজ ও আলমারি, পুরনো ক্যামেরা, গ্রামোফোন, রেকর্ড প্লেয়ার, ভিনটেজ গাড়ির খেলনা মডেল, আরামকেদারা, পানপাত্র, পুরোনো মদের বোতল, ছবির ফ্রেম, ঝাড়লণ্ঠন, শ্বেত পাথরের টেবিল, টাইপরাইটার…। সব মিলিয়ে অ্যান্টিকের ছড়াছড়ি। সবই পুরনো সেই দিনের কথা। তবে রাসেল স্টিটে ভারতের প্রাচীনতম নিলামঘর ‘রাসেল এক্সচেঞ্জ’ আজও প্রাণপণে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই লড়ে চলছে।
এক সময় রাসেল স্ট্রিট পার করে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত চলে যেত দামি দামি গাড়ির সারি। দোকানের বাইরে দল বেঁধে বাবুদের বাড়ি জিনিস নিয়ে যাওয়ার জন্য বসে থাকত কুলির দল। আজ দোকানের ভিতর থেকে ভেসে আসা মাইকের স্বর, ‘বোলি’ লাগানোর আওয়াজ , ভিড় করা মানুষের গুঞ্জন এবং টেবিলে হাতুড়ি ঠোকার শব্দ অনেক ক্ষীণ।
এক সময় কলকাতা এবং আশপাশের জমিদার পরিবারের কাছে থাকা ঔপনিবেশিক বাংলার অনেক স্মৃতিচিহ্ন এখনও অকশন হাউসের আনচকানাচে ছড়িয়ে। সত্যজিৎ রায়, সুচিত্রা সেন, মকবুল ফিদা হুসেন, শাবনা আজমি, সন্দীপ রায়, ঋতুপর্ণ ঘোষরাও বহুবার এখানে এসেছেন পুরনো জিনিসপত্রের টানে। তবে এই নিলামঘর এখন আভিজাত্য খুইয়ে, পরিচয় বদলে পুরনো জিনিস কেনার দোকান মাত্র। কারবার টিকিয়ে রাখতে অন্যতম ভরসা সিনেমার শুটিংয়ের ভাড়া। তবে এই সব জিনিসের সঠিক কদর জানেন যাঁরা, তাঁরা এখনও মাঝে মধ্যে হানা দেন এখানে। তাই কলকাতার নিলামঘরে জড়িয়ে বাংলাবাসীর বনেদিয়ানা-রুচিরও ইতিহাস। শহরে নিলামঘরের গোড়াপত্তন থেকে হালের অবস্থা নিয়েই TV9 বাংলার তথ্যচিত্র ‘নিলাম নিলাম’ দেখা যাবে ‘বাঙালিয়ানা’ অনুষ্ঠানে ।’ ২৮ অগস্ট, রবিবার সকাল ১০টায়।
Reporter,
রাজকুমার দাস
আরও পড়ুন – অনাবৃত শরীরে বিশেষ আপত্তি শাহরুখের, ছেলে আরিয়ানের উপর