বিজ্ঞানের অধরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য কি

secret of the Bermuda devil's triangle

পৃথিবীতে যেমন বিজ্ঞান আছে তেমনি আছে বিজ্ঞান এর প্রচুর জানা অজানা রহস্য যেমন বিগ ফুট, এলডোরাডো, এলিয়েন, অন্য গ্রহে প্রান আছে কিনা, ল্যাক হোল, এমন কি কল্পনা জগগতের রামায়ণ মহাভারত এবং ভগবানের অস্তিত্ব কেও বিজ্ঞান বাদ দেয়নি ।

তার মধ্যে অনেক কিছুর ই বিজ্ঞান প্রমান পেয়েছে এবং দিয়েছে ।

সত্যজিৎ রায় তাঁর কল্পনা শক্তি দিয়ে এরকম অনেক কিছুর উল্লেখ প্রোফেসর শঙ্কুর মাধ্যমে দিয়ে গেছেন । বিজ্ঞান এখন অনেক এগিয়ে গেছে তবুও কিছু রহস্যঃ এমনও থাকে যার প্রমান পৃথিবী নিজেই দিতে চাইনা যেমন ধরুন -‘ বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ‘।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর ব্যাপারে আজ পৃথিবীর 90% লোক জানে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কে অনেকে Devils triangle অথবা Hurricane Alley বলে থাকে, এটা নর্থ আটলান্টিক মহাসাগর এর পশ্চিম এর দিকে অবস্থিত। ফ্লোড়িদা, পুরতো রিকো এবং আটলান্টিক মহাসাগর নিয়ে এটি তিনটি কোনার একটি জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই জায়গার বিশেষত্ব এটাই যে এর উপর দিয়ে যে কোনো জিনিস অথবা প্রাণী গেলে সেটা ভাসমান বা উড়ন্ত যেকোনো জিনিস সেই জায়গায় ডুবে যায় এবং তাঁর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়না যেমন বড়ো জাহাজ, এরোপ্লেন ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা কেউ কেউ জানিয়েছে সেখানি নাকি কোনো জলজ প্রাণী বাস করেনা, কিছু সায়েন্টিস্ট এবং রিসার্চিংস্ট এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘যে ওই জায়গাতে নাকি কোনো কারণে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে মাটির তোলা থেকে প্রচুর পরিমানে methane এবং অন্যান্য গ্যাস মিশে High Electromagnetic field তৈরি করেছে। কিন্তু এর কোনো সঠিক ব্যাখ্যা বা প্রমান তারা দিতে পারেননি।

এই জায়গায় কি আছে এবং কেন এমন হয় তা আজ অব্দি সঠিক ভাবে কেউ জানেনা। Vincent H. Goddis 1964 এ আরগোসি ম্যাগাজিনে এ প্রথম এর উল্লেখ করেন এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের বিষয়ে।

এই নিয়ে অনেক সিনেমাও হয়েছে হলিউড এ যেমন Triangle, Gulliver’s Travels, Bermuda Tentacles, The Bermuda Triangle, Lost Voyage, Airport 77, Monster Island.

এইরকম প্রচুর সুপারন্যাচারাল সাইন্স আমাদের আসে পাশে ছড়িয়ে আছে, কিন্তু সেই নিয়ে খুব কম লোকেরা মাথা ঘামাই, তাই পৃথিবী বলে সেগুলো আমার কোলেই লুকিয়ে থাক।

Theory written by
Suneet Adhikary