Why post mortem called in Bengali Moyna Tadanta :পোস্টমর্টেম হলো একটি ইংরাজি শব্দ। এই পোস্ট মর্টেমকে বাংলায় বলা হয় ময়না তদন্ত। কেউ মারা গেলে সম্ভবত বলা ভালো কেউ রহস্যজনকভাবে মারা গেলে তার দেহের ওপর কাটাছেঁড়া করলে সেই ব্যক্তির মৃত্যুর সময়, কিভাবে মারা গেছে বা কেমন ভাবে তাকে মারা হয়েছে সমস্ত খুঁটিনাটির অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্তের মাধ্যমে।
কিন্তু পোস্টমর্টেম এর বাংলা শব্দে ময়না পাখির নামই কেন উঠে এসেছে? এমন কি বিশেষত্ব আছে এই ময়নায়?আসলে অনেক কিছুই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় বা আমাদের চোখ সহজে দেখতে পায় না।সেটাকেই আমরা ময়না পাখির সাথে তুলনা করি।এর যুক্তিযুক্ত কারণ ও আছে। একটু ভেবে দেখলেই এর সার্থক কারণ টা বোঝা যাবে।
ময়না পাখি কালো হওয়ার সুবাদে এরা নিজেদের খুব সুন্দর ভাবে লুকিয়ে রাখতে সম্ভব।খুব একটা কেউই আমরা ময়না পাখির ডাক, বা আওয়াজের সাথে খুব একটা পরিচিতও নই। অভিজ্ঞতা আছে ময়না পাখির ডাকের সাথে এমন মানুষ খুবই বিরল। বিশেষত এই কারণ মেনেই যে কোন রহস্যের উদঘাটন করতে হলে সামান্য সূত্রর উপর ভিত্তি করেই পোস্টমর্টেমের অন্ধকার বিষয়টিকে সামনে আনতে হয় বা খুঁজে বের করতে হয়।
এই যুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোস্টমর্টেম কে বাংলায় ময়না তদন্ত নাম নামাঙ্কিত করা হয়েছে।
যদিও এই বিষয়টিকে নিয়েও দ্বিমত। রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কেউ কেউ মানতে প্রস্তুত নয়, এই যুক্তি। তাদের মতে পোস্টমর্টেম এর সাথে ময়না পাখির কোন যোগ সূত্র নেই।
আসলে ‘ময়না তদন্তের ‘এই ‘ময়না’ শব্দটি এসেছে ‘আরবি’ ভাষা ‘মুআয়না’ থেকে। এর অর্থ হল অনুসন্ধান করা। আবার হিন্দিতেও এই অনুসন্ধান করাকে ‘মুআয়না’ বলা হয়। Post mortem called in Bengali Moyna Tadanta. এই হল যুক্তি সংগত কারন ময়না তদন্ত বলা হয়ে থাকে পোস্টমর্টেমকে পদ্ধতিকে।