মানসিক চিন্তা থেকে নিমেষে মুক্তি পান ।

মানসিক চিন্তা থেকে নিমেষে মুক্তি পান । 

 

আমাদের জীবনে ভালো সময় এবং খারাপ সময় মিলেমিশে থাকে । এই ভালো সময় না থাকলে হয়তো খারাপ সময় বুঝতে পেতাম না এবং খারাপ সময় না থাকলে ভালো সময়কে চিনতে পেতাম না । খারাপ সময়কে কাটাতে অনেকেই পারে না । তারা অনেক ডিপ্রেশনে চলে যায় । আজকের এই ব্লগটি তাদের জন্য যাদের মানসিক স্বাস্থ্য খুবই খারাপ । ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনার জীবনে এটি প্রয়োগ করুন । আশা করি ভাল ফল পাবেন । চলুন তাহলে আলোচনা করা যাক-

ভালো সময় প্রত্যেকে কাটাতে চাই কিন্তু তার মধ্য খারাপ সময় এসে উপস্থিত হয় । সেটা যে কোন কারণে হতে পারে – অর্থনৈতিক কারণ , ভালোবাসা জনিত কারণ , মানহানি যুক্ত কারণ ইত্যাদি । তবে আপনার যে সমস্যা এটা আপনিই ভালো বুঝবেন। সেক্ষেত্রে আপনি যেটার জন্য মন খারাপ হয়ে আছেন সেটিকে প্রথম চিহ্নিত করুন।

ধ্যান- ধ্যান মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় । মন খারাপ , ধূমপানের মত খারাপ অভ্যাস এগুলি ত্যাগ করতে সাহায্য করে । সেই জন্য প্রতিদিন আপনি অন্তত ঘুম থেকে ওঠার সময় এবং ঘুমাতে যাওয়ার সময় অবশ্যই ১০ মিনিট করে ধ্যান করুন । একটু বেশি করলে ক্ষতি নেই ।

স্বাস্থ্যকর খাবার – আমি জানি যখন আমাদের খারাপ অবস্থা থাকে , মানসিক দিক থেকে অনেক খারাপ অবস্থায় চলে যেতে থাকে , তখন কোন কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না । সেই জন্য হয়তো রাগ হলে আমরা বলে ফেলি – ভাত খাব না । আচ্ছা একটা জিনিস ভাবুন তো , রাগ হয়েছে অন্য কিছুর জন্য তাহলে ভাত খাবেন না কেন ? সবার আগে আমাদের শরীর কে ভালো রাখতে হবে । সেই জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ খাওয়া দাওয়া করতে হবে । অতীতকে ভুলে কিভাবে ভবিষ্যৎ কে রঙিন করা যায় সেই ব্যাপারে ভাবা অত্যন্ত জরুরী ।

ঘুম – প্রত্যেকের হয়তো সঠিক ঘুম হয় না । কেউ ৫ ঘন্টা , কেউ ৬ ঘন্টা, কেউ আবার ৪ ঘন্টা ঘুমায়। এবার একটা জিনিস লক্ষ্য করলে আপনি বুঝতে পাবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেও একটু শরীরের রেস্ট অবশ্যই প্রয়োজন । সেই জন্য নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এবার আপনি হয়তো ভাবছেন মানসিক চাপ থাকলে ঘুম আসে না । সেইগুলো চিন্তা হয় , হ্যাঁ চিন্তা হবে। তবে চিন্তা কি করে সমাধান করা যায় সেই চিন্তায় চিন্তিত হন । আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন । আমি কি বলতে চেয়েছি শেষে আর একবার বলি । প্রতিনিয়ত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমান রাতে।

মোবাইল ফোনের অ্যাডিকশন – আমরা যখন আগে একসাথে খেলতে যেতাম , ছোট বড় সবাই একসাথে খেলতাম । ছিল না তেমন মোবাইলের প্রভাব । কত আনন্দে কাটতো সবার কিন্তু এখন দেখুন একটা বাচ্চা মোবাইলে কাটুন না দেখলে ভাত খেতে পারে না । কোন অবস্থায় পৌঁছে গেছে একটু ভাবুন। সেই জন্য মোবাইল ব্যবহার করা একটু কমিয়ে দিন। আমি জানি বারে বারে ডাটা অন করতে ইচ্ছে হবে । আবার মনে হবে কেউ মেসেজ করছে না তো ? এইসব চিন্তা গুলি বাদ দিন এবং বিশেষ করে রাত্রে ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার করবেন না তাহলে ঘুম দেরিতে আসবে ।

একসাথে থাকুন – কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আমরা অনেকে ভাবি আমার সমস্যা আমি একাই মেটাবো , আমি কাউকে কোন কিছু শেয়ার করব না । এটা সবথেকে আপনার ভুল সিদ্ধান্ত । সমস্যাগুলি যদি পরিবারকে বলা যায় বলুন , যদি না বলা যাই বন্ধুবান্ধবকে বলুন। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে এবং অনেক কিছু ভুলে যাবেন।

আমি জানি , আপনার মন খারাপ আপনার কাছে । সেটা পৃথিবীর এমন কেউ নেই , যে আপনার মনকে ঠিক করে দেবে তবে ব্লগটির লেখা সম্পূর্ণ নিজের উপর ভিত্তি করে । আশা করি এই গুলি অবলম্বন করলে অনেক ভালো থাকতে পারবেন । ধন্যবাদ ব্লগটি পড়ে যদি একটুও উপকৃত হয়ে থাকেন , তাহলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন হয়তো তাদের অনেক কাজে লাগতে পারে ।

মানসিক চিন্তা থেকে নিমেষে মুক্তি পান । 

আরও জানুন –

মানসিক চিন্তা থেকে নিমেষে মুক্তি পান । 

এই পাঁচটি Dry Fruit , বার্ধক্যেও দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখবে !

চাকরি নাকি ব্যবসা ? আপনার জন্য কোনটি ঠিক ?