রানী ক্লিওপেস্ট্রা মানেই হলিউড খ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর এর অবয়ব চোখের আয়নায় ফুটে ওঠে। দীর্ঘাঙ্গী, পটল চেরা চোখ, ফর্সা, পাখির চঞ্চুর মতো টিকালো নাসিকা, পাতলা ওষ্ঠ যুগল, নিটল শরীরের ভাঁজ, সবটা যেন কোনো আর্টিস্ট এর কল্পনা মেশানো পেন্টিং। সিনেমা আমাদের সামনে এভাবেই তুলে ধরেছে মিশরীও রানী ক্লিওপেস্ট্রাকে। টলমান মিশরের শেষ রাজবংশীও শক্তিশালী ও বুদ্ধিদীপ্ত শাসক ছিলেন । সাথে কূটনীতি, রাজনীতি, তীক্ষ্ণ ধারালো বুদ্ধি তার বশীভূত ছিল। তবে এসব উপেক্ষিত ছিল তার যৌন আবেদনের কাছে। মানুষের কাছে তার পোট্রেট টা ঠিক এরকমই। এভাবেই মনে রাখতে আগ্রহী মানুষ তাকে। রানী এলিজাবেথের মতো সৌন্দর্যের দিক দিয়ে রুপ কি রানী ছিলেন না ক্লিও পেস্ট্রা। বরং শ্যামবর্ণা, খাটো নাকের অধিকারী ছিলেন এই মোহমই। তার অসামান্য ব্যক্তিত আকৃষ্ট করতো পুরুষদের। পার্সোনালিটি কে অস্ত্র করে ঢেকে দিতেন তার রূপের ঘাটতি। পুরুষ আকৃষ্ট হত তার ব্যক্তিত্বের আবেদনে,স্টাইল এর জাদুতে।
অনেকেই ক্লিওপেস্ট্রা কে পুরুষ শিকারী বা লোভী বলতো, তবে যে কোনো পুরুষ তাকে দেখা মাত্রই তার প্রেমে হাবুডুবু খেতো, নিজেকে সামলে রাখার সর্ব ক্ষমতা হারাত পুরুষজাতি তাঁর আপিল ম্যাজিক এর কাছে। এমনকি জুলিয়ার সিজার ক্লিওপেস্ট্রার শত্রু হয়েও নিজেকে সামলে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।ধরা দিযেছেন সাবলীল ভাবেই। কিভাবে ক্লিও পেস্ট্রা পুরুষদের নিজের প্রেমে ফেলতেন সেটা একটা রহস্য।
বর্তমান সময়ে রানীর রহস্যের হদিস অনেক মেয়েরই নখও দর্পণে, কিভাবে কোন আঙ্গিকে পুরুষ কে আকর্ষিত করতে হয়? বা সঙ্গীকে নিজের মোহতে বশ করে রাখতে হয় সে বিষয়ে পারদর্শিতার অভাব নেই। এই কাজ টা যথেষ্ট নিপুণতার দ্বারা করতে সম্ভব আজকের নারীরা।
পোশাকি পোশাক
আপনার সঙ্গী ক্লান্ত বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি আসছে, কাজের প্রেসার, স্ট্রেস কাটানো ও তার মুড ঠিক করতে আপনি একটি কালো শর্ট স্টাইলিস্ট ড্রেস অঙ্গে তুলেই দেখুন বাজিমাত কাকে বলে অথবা স্লিভ লেস ব্লাউজ এর সাথে একটা লাল টুকটুকে ট্রান্স ফারেন্ট শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে ফেললেই কেল্লাফতে।সাথে কার্লি চুল, সুগন্ধি, আর ডার্ক চকোলেট বেশ ! সঙ্গীও খুশ আপনিও হ্যাপি।
প্রযুক্তির প্রয়োগ
নিজের পার্টনার এর রোমান্টিক সেক্সী মুড করে তুলতে চাইলে তাকে রোমান্টিক গান, মেসেজ, এমনকি সেক্সসুয়াল ম্যাসেজ করতে থাকুন। নিজের কিছু হট সেল্ফি পৌঁছে দিন তার কাছে। আপনের কাছে আসার পরেও তাকে আপনার হালকা স্পর্শ দিন তবে তখনও নিজেকে নাগালের বাইরে রাখুন। আপনার সঙ্গ পাওয়ার জন্য তাকে ব্যাকুল করে ফেলুন। হলফ করে বলতে পারি আপনের পুরুষটি ভালোবাসায় পাগল করে দেবে সেই রাতে। মনে রাখার মতো মুহূর্ত তৈরি হবে সেটা।
অরিজিৎ সিংহ এর নতুন অধ্যায়
সিনামার পর্দায় যখন নিজেই হিরোইন
আপনার সঙ্গী বাড়ি এসে রাতে সিনামা দেখার প্ল্যান করে, কিন্তু আপনি চাইছেন অন্যরকম কিছু। নো প্রবলেম। এমন কিছু সিনেমা সাজেস্ট করুন যাতে আপনার ও তার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়। ইন্টিমেসী দৃশ্য দেখে যৌণ উত্তেজক হয়ে নিজেদের কামনা বাসনা তৃপ্তি করার সুখ টা সম্পূর্ণই ভিন্ন।
পুরাতন যখন নতুন
আপনার স্বামী হয়তো রাতে আপনার সাথে খুব সিরিয়াস কিছু আলোচনা করছেন বা নরমাল কিছু বিষয়ে কথা বলছেন। আপনি খুব হালকা ভাবেই তার মুড টা ঘোরানোর জন্য, পিছনে ফেলে আসা সুন্দর মুহূর্ত, একসাথে কাটানো বেশ ভালো সময়, নিজেদের মধ্যে ঘটা কিছু দুষ্টুমি এগুলো নিয়ে কথা বলতেই পারেন। আপনার হাসি তামাশার সঙ্গে সেও পাল্লা দিতে থাকবে। কারণ ভালো মুহূর্ত সবসময় আনন্দ দেয়। একে অপরকে কাছে আনে। ঠিক এভাবেই চলে আসবেন নিজেদের সংস্পর্শে কখন বুঝতেই পারবেন না। আর কাছে এসে আলিঙ্গন করলেই মিলনের দিকে এগিয়ে গেলেন তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইশারো ইশারো মে
আপনি রোমান্টিক হয়ে আছেন, বাইরে সুন্দর পরিবেশ, কিন্তু ঘরে লোকজনে ভরা বা আপনার সঙ্গী টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে মত্ত। ইশারা ইঙ্গিতে তাকে বোঝান আপনার রোমান্টিক মুডের কথা, নিজের সুগন্ধি মাখা অঙ্গ নিয়ে চারপাশে বারবার ঘুরে বেড়ান তার। হালকা ভাবে নিজের শরীরের কিছু অংশ খোলা রেখে তাকে বোঝান মনের কথা। নিজের অল্প স্পর্শ দিন তাকে। চোখে চোখে চালান করুন কথা, ঠোঁটের ইশারায় তাকে দূর থেকে ফ্লাইং কিস পাঠিয়ে দিন। মেন কোর্সে প্রবেশের আগে পার্টনার কে ফোরপ্লে দিয়ে আনন্দ দিন, আর নিজেও উপভোগ করুন।