শনিবার শেষ হল অরিত্র সেন পরিচালিত ‘ফাটাফাটি’ ছবির শ্যুটিং। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। তাঁর বিপরীতে আবীর চট্টোপাধ্যায়কে। ‘সবচেয়ে সাহসী’ ছবির শ্যুটিং শেষ করেছেন। শ্যুটিং শেষে এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেট থেকে কিছু স্মৃতি শেয়ার করলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতে তিনি একজন প্লাস সাইজ মডেল।
ঋতাভরী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘কেরিয়ারের সবচেয়ে সাহসী ছবির শুট শেষ হল। ফাটাফাটি-র জার্নি আমার জীবনে যেকোনও ছবির থেকে বেশি। এটা এমন একটা ছবি যেটার মধ্যে আমি বেঁচেছি। জীবনের একটা সময়ে সব মেয়েকেই এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দর্শকদের সবাইকে ছবিটা দেখানোর জন্য আমি অনুরোধ করছি”।
ছবির গল্প লিখেছেন জিনিয়া সেন। সংলাপ লিখেছেন সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রযোজনার দায়িত্বে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের প্রযোজনা সংস্থা ‘উইন্ডোজ’। এক এক্সএল মডেলকে নিয়ে ছবির চিত্রনাট্য। সেই মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। তাঁর স্বামীর চরিত্রে দেখা যাবে আবীর চট্টোপাধ্যায়কে। ছবির প্রসঙ্গ বডি শেমিং। প্রোমোতে দেখা গিয়েছে একটি বডি হাগিং লং ড্রেস দেখছেন আবীর ও ঋতাভরী। সেই ড্রেস দেখতে দেখতেই তাঁরা বলছেন, বোতল থেকে ম্যানিকুইন সবেরি সাইজ ৩৬-২৪-৩৬। এরপরই চেহারায় একটু স্বাস্থ্যবতী ঋতাভরী বলেন, তাহলে তিনি কে? অবশ্য এর উত্তর তিনি নিজেই দিলেন যে, তিনি ফাটাফাটি।
ছবির প্রোমোতেই ঋতাভরী জানিয়েছিলেন যে খুব শীঘ্রই পর্দায় আসছেন তাঁরা। ছবি নিয়ে তিনি বলেন,’ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি নিয়ে আমি খুব গর্বিত কারণ এই ছবিটা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন এনেছে। ফের এই টিমের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। আমার কাছে এটা ঘরে ফেরা।’
অন্যদিকে আবীর বলেন, ‘সিনেমা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমরা অভিনেতারা এর মাধ্যমে অনেক কথাই বলতে পারি আবার এন্টারটেইনও করতে পারি। তবে ফাটাফাটি ছবিটা এই দুটি বিষয়কেই ব্যালান্স করে চলছে।’