সঠিক নিয়মে পুজো পরিবারে আনে শান্তি সমৃদ্ধি, জেনে নিন বিনায়ক চতুর্থীর সময়

Ganesha

হিন্দু ধর্মমতে, ‘সংকট-মোচন’ গণপতির আরাধনা করলে সব বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। তবে সঠিক নিয়মে করতে হবে সিদ্ধিবিনায়কের পুজো। প্রতি মাসের শুক্লা চতুর্থীকে বলা হয় বিনায়ক জয়ন্তী এবং কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থীকে বলা হয় সংকষ্টী চতুর্থী, যা গণপতির দুটি ঐশ্বরিক জন্ম ও অবতারকে নির্দেশ করে। বলা হয়, প্রথম জন্মে তিনিই মূর্ত বিনায়ক। দ্বিতীয়টিতে, তিনি হাতির মাথা পরিহিত শ্রী গণেশ। পুরাণ অনুসারে, ভগবান শিব ত্রিশূল দিয়ে গণেশের মস্তক ছেদ করেছিলেন।

Ganesh
মা পার্বতীর অনুরোধে এবং শ্রী বিষ্ণুর সাহায্যে সেই স্থানে শুদ্ধ ও সূক্ষ্ম বুদ্ধির মগজ যুক্ত হয়। আর মহাদেব সঞ্জীবনী মন্ত্রে পুনরুজ্জীবিত হন। তখন তাঁর নাম হয় ‘গণের ইশ’ অর্থাৎ গণেশ, গণপতি।
শিব বিনায়কের অজ্ঞান মস্তক বাদ দিয়ে তাঁকে পুণ্য, ঐশ্বরিক বুদ্ধি, নিখুঁত সিদ্ধি, বিনয়, পবিত্রতা, মহান মনের প্রতিস্থাপন করেছিলেন। গণেশের অসাধারণ মেধা ও প্রতিভায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে দেবতার মধ্যে প্রথম উপাসক বলেও ঘোষণা করেন।

Ganesh
শিব পুরাণ অনুসারে, শুক্লপক্ষের চতুর্থীর বিকেলে ভগবান গণেশের জন্ম হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বে একটি পবিত্রতার অনুভূতির উৎপত্তি হয়েছিল। তাই ব্রহ্মদেব চতুর্থী তিথিকে এক গুরুত্বপূর্ণ তিথি হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।

বিনায়ক চতুর্থী কবে-
এবারের বিনায়ক জয়ন্তী ৩রা জুন। সেইদিন চতুর্থী তিথি শুরু হবে দুপুর ১২.১৭ মিনিটে। থাকবে রাত ২.৪১ মিনিট পর্যন্ত। এরমধ্যে পূজার শুভ সময় ১০.৫৬ মিনিট থেকে ১.৪৩ মিনিট পর্যন্ত।
প্রকৃত অর্থে গণেশের উপাসনা করার অর্থ হল তাঁর ঐশ্বরিক গুণাবলী, বুদ্ধিমত্তা, পদ্ধতি, সিদ্ধি এবং ক্ষমতাকে আহ্বান করা। এর মাধ্যমেই আমাদের জীবনে ও সমাজে সব বাধা ও নেতিবাচক অন্ধকার আপনা থেকেই দূর হবে। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে জীবন। গণেশ পুরাণ অনুসারে, গণেশকে খুশি করার জন্য প্রথমে চাঁদ চতুর্থী পালন করেছিলেন। মঙ্গলবার এবং চতুর্থী তিথিতে উপবাস ও উপাসনা করলে ঋণ ও রোগ থেকে মুক্তি পেতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।