বিবাহ একটি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান এবং সেই সাথেই অনেক আশা আকাঙ্খা স্বপ্ন নিয়ে নববিবাহিতদের পথ চলা শুরু হয়। সমস্ত দম্পতি চান সুখ শান্তি বিরাজ করুক তাদের নব জীবনে। বাস্তু মতে ৮ টি পরামর্শ মেনে চললে নব দম্পতিদের জীবনে বৈবাহিক সুখের অভাব হবে না।
যুগ যুগান্তরে নারীর ওপরেই নেস্ত সমাজের বহুল প্রচারীত কথাটি সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে। যদিও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নিয়মে সংসার সুন্দর ও নব বিবাহিত জীবনকে মিষ্টি মধুর রাখার সমস্ত দায়িত্বটাই বর্তায় নারীদের ওপরেই। কিন্তু আসল কথাটি হলো নারী পুরুষ মিলেই যেহেতু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, এবং একটি পরিবার গড়ে তোলে তাই সুন্দর বৈবাহিক জীবন গঠনে পুরুষদের ভূমিকাও সমান সমান।
তবে সবসময় সব হিসান মেলে না, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোনোভাবেই নব দম্পতি নিজেদের জীবন কে সঠিক ভাবে গুছিয়ে উঠতে পারছেন না। বিভিন্ন সমস্যা এসে ভর করছে মাথার ওপরে। প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন কোনো সমস্যা থাকা উচিত নয়, বা দেখাশোনা করে বিয়ে হলেও সেখানে সব কিছুই প্রায় ঠিক থাকে। তবুও কেন হয়ে উঠছে না তাদের নতুন জীবন সুখ সমৃদ্ধি দ্বারা ভরপুর সব ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও?
নববিবাহিতদের এর জন্য সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বাস্তুবিদদের পরামর্শ। যদি আপনার বাসস্থানটি বাস্তুবিধি মেনে বাড়ি নির্মিত করা হয়ে থাকে, বা বাড়ির আসবাবপত্র বাস্তু অনুযায়ী সঠিক স্থানে বসানো থাকে তবেই আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি।
এবার দেখে নেবো কোন কোন দিক গুলি তুলে ধরেছেন বাস্তুবিদরা নববিবাহিতদের সুখী রাখার জন্য? কি সেই ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ –
(১) নব বিবাহিতদের শোয়ার ঘর থাকা উচিত অবশ্যই দক্ষিণ, পশ্চিম বা দক্ষিণ পশ্চিম কোনে। লক্ষ রাখতে হবে তাদের ঘরটি যেনো কোনো অবস্থায় উত্তর বা পূর্ব দিকে না হয়। সঠিক স্থান বা দিকে ঘর হলেই নবদম্পতির অন্তরঙ্গতা ও তাদের সম্পর্কে মাধুর্য গড়ে উঠবে।
(২) পূর্ব দিক সংসারে ক্ষেত্রে ইতিবাচক হয়। নববিবাহিতরা যদি নিজেদের ছবি শোয়ার গড়ে লাগাতে চান তাহলে পূর্ব দিকের দেওয়াল হবে একদম উপযুক্ত স্থান।
(৩) স্বামী স্ত্রী যখন নতুন জীবন আরম্ভ করছেন তখন তাদের শোয়ার ঘরে কাজের জিনিসপত্র ল্যাপটপ, কম্পিউটার, বই এসব না রাখাই ভালো তাতে কাজের সাথে নিজস্ব জীবনের ভারসাম্য থাকে।
(৪) নব দম্পতিরা যখনি ঘুমাবেন তাদের মাথা যেনো দক্ষিণ দিকে হয়। প্রয়োজনবশত নিজের আসবাব সেভাবেই রাখতে হবে। এর ফলে তাদের নতুন জীবনে আসবে সৌভাগ্য ও অর্থের প্রাচুর্য।
আরও পড়ুন – সঙ্গীকে কাছে টানুন মোহময়ী শারীরিক আবেদনে
(৫) কালো, ধূসর, খয়েরি, ঘি রঙা আসবাব বা এই রঙের চাদর পর্দা কিছুই লাগানো যাবে না। এতে স্বামী স্ত্রীর জীবন বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হবে, অযথা প্রতিবন্ধকতা বাড়বে।
(৬) নতুন বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর জীবন সুন্দর করে প্রেম সম্প্রীতি বাড়াতে শোয়ার ঘর সাজাতে হবে গোলাপি, কমলা, নীল, হলুদ রঙের ব্যবহার করে, আসবাব হওয়া চাই বাস্তুবিদ দ্বারা এই নির্বাচিত রং অনুযায়ী।
(৭) শোয়ার ঘরে যদি আয়না লাগানো থাকে তা যেনো কখনোই খাটের মুখোমুখি না থাকে। কারণ এর থেকে ঘরে নেতিবাচক শক্তি দ্বারা সংক্রমিত হয়।
(৮) শোয়ার ঘরের একটি ফুলদানিতে রোজ গন্ধময় তাজা ফুল রাখলে তা নব বিবাহিতদের জীবনে সুখের সঞ্চার ঘটায়।
এই পরামর্শ গুলি কার্যকর করে আপনাদের নব জীবনে আমন্ত্রণ করুন সুখ ও আনন্দ।