রানাঘাট যা শুধুই একটি মফস্বল বলেই জানতো সবাই, সেই রানাঘাট এখন রীতিমতো পরিচিত কলকাতা ছাড়িয়ে মুম্বাইতেও। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের চোখ শুধু খুঁজে বেড়ায় টেলেন্ট, যারা টেনে তুলতে দ্বিধাবোধ করে না মানুষের, কোয়ালিটি কে সন্মান জানাতে। হোক না সেই টেলেন্টেড মানুষটি বলা ভালো মহিলাটি মানসিক ভারসাম্য হীন। তাতে কি প্রতিভা কি থেমে থাকে তাতে? আর এই প্রতিভা কে যে খুঁজে বার করার ক্ষমতা রাখে রানাঘাট স্টেশন থেকে সেও কি কম প্রতিভাবান? কথায় আছে জহুরি জোহর চেনে। মূল্য সেই দিতে জানে জানে যার মূল্যবোধ চূড়ান্ত। তাই তো আলখাল্লা অপরিষ্কার পরিধান পরে স্টেশন এ বসে গুনগুন করে গাইতে থাকা গান নিজের ফোনে রেকর্ড করে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপলোড করে দিয়ে মানুষকে সুকণ্ঠী রানু মন্ডল উপহার দিতে পারে সে আর কেউ না আমাদের সকলের প্রিয় অতীন্দ্র চক্রবর্তী। সময় হয়নি একটু দাঁড়িয়ে যাওয়ার!! খুব ভালো লাগলে হয়তো বলেছি — কি সুন্দর! ওটুকুই, এর বেশি নয়। সময় কোথায় নিজেকে ছাড়া ভাবার? যে ভাবতে পারেন সে অবশ্যই ঈশ্বর এর দূত। আপনি আমি হয়তো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এরকম কত প্রতিভাকে পেয়েও হারিয়েছি, জানা নেই।
রানু মন্ডল সত্যি সুর প্রেমী বাঁ ওনার কণ্ঠে সুর বিরাজ করে এটি অস্বীকার করার সাধ্যি কারুর নেই। কিন্তু কয়লার খনি থেকে হিরে খোঁজার কাজ যে শুধুই হিরো অতীন্দ্রর অবদান এটাও ভোলার নয়। না আমরা ভুলিনি যতটা সুরেলা রানু দি কে ততটাই ভুলিনি তার আবিষ্কর্তা অতীন্দ্র চক্রবর্তী কে।
একজন মানসিক ভারসাম্য হীন ভ্দ্রমহিলাকে অবশ্যই ভাইরাল হয়েছে তার টেলেন্ট দিয়ে। কিন্তু আজ যতটা সফল তার দোরগোড়ায় সবসময় দাঁড়িয়ে থাকবে একটাই নাম অতীন্দ্র। রানু মন্ডল কেন আমরাই রাতারাতি বিখ্যাত করেছি ঠিকই, কিন্তু তার আগের ও পরের সব কাজটাই করে গেছে অতীন্দ্র। তাকে নিয়ে সমস্ত শো এ যাওয়া থেকে শুরু করে সুদূর আরবের বুকে সুপার ষ্টার সিঙ্গার রিয়ালিটি শো হয়ে বিখ্যাত সংগীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার ষ্টুডিও পর্যন্ত একই ভাবে হাত ধরে তার সাহস বাড়িয়ে যাওয়া পযন্ত,বলা যায় এখনো তাকে ধরে রেখেছেন একই ভাবে ।
সেই অতীন্দ্র এখন আরো বেশি করে পৌঁছে দিচ্ছে নতুন প্রতিভাবান মুখকে মানুষের কাছে। তার পেজ সোশ্যাল ওয়ার্কার অতীন্দ্র র মাধ্যমে। অতীন্দ্রর স্ট্রং একটিভিটি, মানুষের জন্য কিছু করার একটি সুন্দর মন আমাদের সন্ধান দিচ্ছে একের পর এক টেলেন্ট। রানু মন্ডল ছাড়াও এখন আমরা চিনেছি চাকদার একজন চা বিক্রেতা মহিলা “বিপাশা দাস” কে। বাঁকুড়ার কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা “করুনা কামিল্লা” যিনি এই মুহূর্তে নেট দুনিয়ায় খুব ভাইরাল একটা পরিচিত মুখ।যারা পরিচিত পাচ্ছে অতীন্দ্রর হাত ধরে। আটকে থাকা শিকল খুলে এনে অতীন্দ্র তাদেরকে জনগনের দরবারে হাজির করছেন। কিছু দিনে আগে তার পেজ থেকে শারদ সন্মান নামক সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন তিনি এবং সেখান থেকে সেরা দশ জনকে বিচারক মন্ডলীর মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়।
সেখান থেকে আরো বাছাই পর্বের পর চার জনকে নিয়ে শ্যামা সংগীত রেকর্ড করার ব্যবস্থা করে তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। আগামী ৩রা নভেম্বর কালীপুজোর বিশেষ দিনে অতীন্দ্র পেজ ও তারই ইউটিউব চ্যানেল থেকে রিলিস হবে। এভাবেই ঝাঁক ঝাঁক ট্যালেন্ট কেন গোটা দুনিয়ার সামনে হাজির করার মহান কাজে লিপ্ত হয়েছে আমাদের সকলের প্রিয় সোশ্যাল ওয়ার্কার “অতীন্দ্র”।
কলকাতা, মালদা, নদীয়া, হুগলি, রানাঘাট প্রভৃতি জেলার বাছাই করা অচেনা অথচ প্রতিভাবান শিল্পীদের খুঁজে একজোট করে সংগীত পরিচালক দ্রোণ আচার্যর তত্ত্বাবধানে গড়িয়ার একটি ষ্টুডিও তে গান রেকর্ড করলেন সোশ্যাল ওয়ার্কার মানুষের সত্যি কারের বন্ধু অতীন্দ্র চক্রবর্তী।
আমরা আশা রাখবো, ঠিক যেমন করে অথিন্দ্র হাত ধরে রানু মন্ডল আজকের কলকাতা মুম্বাই ছাড়িয়ে বিশ্বের দরবারে পরিচিত মুখ ঠিক এই ভাবেই যেন সত্যি কারের প্রতিভাদের অতীন্দ্র পৌঁছে দিতে পারে তাদের লক্ষ্যে।