চাণক্য এর মতে প্রতিটি মানুষেরই সুঅভ্যাস এ থাকা খুবই দরকার। এটি স্বভাবের একটি বিশেষ দিক যা তার আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সুঅভ্যাস অবলম্বন করা যেকোনো ব্যাক্তি সফলতার শীর্ষে অবস্থান করে। ভালো অভ্যাস কে প্রভাবিত করতে সক্ষম একমাত্র শিক্ষা ও সংস্কৃতি। চাণক্য একজন সুশিক্ষিত পণ্ডিত ছিলেন। অন্যদিকে ছিলেন অর্থশাস্ত্রবিদ। সুদক্ষ কৌশলবিদ হিসাবেও তার পরিচয় আছেন এবং তিনি ছিলেন খুব সচেতন একজন ব্যাক্তি। চাণক্য সমাজের মানুষদের খুব ভালো ভাবে লক্ষ করে খুব গভীরভাবে কিছু বিবেচনার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তার অভিজ্ঞতার ভিক্তিতে তার বলে যাওয়া নীতি গুলোকে “চানক্য নীতি ” নামে আখ্যা দিয়ে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে।
চাণক্য এর নীতি অনুযায়ী খারাপ অভ্যাস থাকা যে কোনো ব্যাক্তির অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে যায়। কর্মক্ষেত্র ও সমাজে সন্মান থাকে না, এ জাতীয় মানুষের।তিনি দুটি কাজ থেকে সর্বদা দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন।
মিথ্যেকথা স্বভাবের একটি বিশেষ খারাপ অভ্যাস। মিথ্যা থেকে প্রত্যেকটি মানুষকেই তিনি দূরে থাকতে বলেছেন। মিথ্যা মিথ্যা কেই ডেকে আনে যার ফল হতে পারে খুবই খারাপ ও বিপদজনক। মিথ্যা কথা থেকে ব্যাক্তিটি শুধু নিজের নয় নিজের আশেপাশের মানুষদেরও বিপদ ডেকে আনে। এই মিথ্যে বলতে অভ্যস্ত মানুষটির স্বরূপ সামনে এলে যে কোনো ব্যাক্তি তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে।
চাণক্য এর নীতিবোধ অনুযায়ী আলস্য একটি মানুষের অসফলতার সবচেয়ে বড় কারন। আলস্যেভরা মানুষ উন্নতি কে স্পর্শ করতে ব্যার্থ হয়। অলস ব্যাক্তি তার জীবনের সব সুযোগ কে হারিয়ে ফেলে। সবরকম ভালো সম্ভবনার সবচেয়ে বড় বাধা হলো মানুষের এই আলস্য। যা ত্যাগ করা প্রত্যেকটি মানুষের অবশ্যই উচিত। নিজেকে সাফল্যমণ্ডিত করার সুযোগ জীবন বারবার দেয় না তাই সুযোগ কে কাজে লাগানো উচিত। অলসতা সুযোগ কে হাতছাড়া করে, কাজে লাগাতে পারে না তাদের থেকে সাফল্য সবসময় দূরে থাকে। একজন অলস ব্যাক্তি চিরকাল সুযোগের ব্যাবহার করতে ব্যার্থ হয় এবং হতাশা ভোগ করেন। যে ব্যাক্তি প্রবল সচেতনতার সঙ্গে জীবনে আসা প্রতিটি সুযোগের স্দব্যাবহারের জন্য নিজেকে সর্বদা প্রস্তুত রাখে সেই ব্যক্তিই চরম সাফল্যের শিরোনামে অবস্থান করেন এবং সাফল্য অর্জন করেন।