গোটা ভারতবর্ষে রাজকীয় ভাবে দক্ষিণের সিনেমা গুলো রাজ করে। কিন্তু কেন? দক্ষিনি সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরই প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার জন্য আপামর ভারতবাসী হ্যাপ্পিতেশ করে থাকে। তারা রীতিমতো বলিউড কেও টেক্কা দিচ্ছে। এর আসল কারণ টা কি?
পরপর দক্ষিনি ছবি আসছে আর সেটা নিয়ে উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে, বাড়ছে সিনেমা হলে মানুষের ঢল।ব্লক ব্লাস্টার হিট এক একটা মুভি। এর অন্তর্নিহিত কারণ একটাই। দক্ষিনি ভারতীয় সিনেমার পরিচালকরা গুনের কদর বোঝে। ওই যে বলে না ‘জহুরি জহর চেনে’ ঠিক তাই। সাম্প্রতিক এমনি এক ঘটনা ঘটেছে।
কে. জি. এফ চ্যাপ্টার —২ সিনেমা টিতে সম্পাদনা অর্থাৎ এডিটিং এর কাজ করেছে ১৯ বছর বয়সী উজ্জ্বল কুলকারনি। টিনাজার, মাত্র ১৯। তবুও বিখ্যাত একটি ছবিতে তার বিশেষত্ব দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে কে. জি. এফ এর পরিচালক স্বয়ং। কারণ তিনি বয়স আর অভিজ্ঞত্তার থেকে টেলেন্ট কে গুরুত্ব দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি।
কয়েক বছর আগে পযন্ত একজন ইউটিউবার ছিল উজ্জ্বল কুলকারনি নামক এই তরুণ। নানা ধরণের ভিডিও এডিটি করে উপলোড করতো। এমনি কোনো একটি ভিডিও চোখে পরে যায় কে. জি. এফ খ্যাত পরিচালক প্রশান্ত নীলের। ভিডিও টি ভীষণ পছন্দ হয় তার। তারপর চলে কয়েকটি পরীক্ষা। উজ্জ্বল কুলকারনি পরীক্ষা গুলোতে উর্তীন্ন হয় এবং এই সাথে ঘটে তার এই বিখ্যাত দক্ষিনি ছবিতে কাজের সুযোগ।
এরপর পরিচালক প্রশান্ত নীলের গোটা সিনেমাটির এডিটের দায়িত্ব দেন এই তরুণ, নবীন ছেলে টিকেই। সিনেমাটির প্রথম পার্ট এতো বিখ্যাত হওয়ার পর কতটা সাহস নিয়ে প্রশান্ত নীল তার আগের এডিটার কে সরিয়ে সম্পূর্ণ একজন নতুন প্রজন্মের হাতে এতো বড়ো একটা কাজ সপে দেন! কারণ বলতে বলাইবাহুল্য, পরিচালক এখানে বয়স নয়, প্রতিভা কে এগিয়ে রেখেছেন। ট্যালেন্ট কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা প্রতিভার কদর করছেন, নতুনদের সুযোগ দিছেন। এই কারণেই আজ গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে সাউথ সিনেমার এতো নামডাক। তারা সবচেয়ে এগিয়ে। তাই তাঁদের নতুন ভাবনা চিন্তার বিকাশ কে আমরা সিনেমার পর্দায় দেখতে পাচ্ছি এবং পুরোপুরি বিনোদনের আনন্দ নিচ্ছি।
- Bajra Roti vs Jowar Roti: Which Millet Roti Is Better for Weight Loss?
- Inspirational Women Story: Elderly Bikers Conquer Nathula Pass
- Why Indian Restaurants Want To Quit Food Delivery Apps: Survey Reveals










