অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকের মতে, যাঁরা প্রায় প্রতিদিনই মাছ-মাংস খেয়ে থাকেন, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার সম্ভবনা বেশি। এর পাশাপাশি অবশ্য অত্যধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে ইউরিক অ্যাসিড হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
ইউরিক অ্যাসিড রুখতে বেশ কিছু ড্রাই ফ্রুট ম্যাজিকের মতো কাজ করে। শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ব্যথা যন্ত্রণা কমায় নিমেষেই ৷
ইউরিক অ্যাসিড যাঁদের আছে তাঁরা বাদাম খেতে পারেন ৷ এতে আছে ক্যালশিয়াম, ফাইবার, তামা, ভিটামিন কে, প্রোটিন ও দস্তা। প্রতিদিনই খাওয়া যেতে পারে। এটি খেলে গাঁটের ব্যথা দূর হয় সহজেই।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কাজুবাদামও অত্যন্ত উপকারী৷ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার বা তন্তু জাতীয় পদার্থে ভরপুর কাজুবাদাম আমাদের শরীরে পুষ্টির যোগান দেয়। তাই যাঁরা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় জর্জরিত তাঁরা কাজুবাদাম খেতে পারেন৷
ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার ৷ এটিকে সুপারফুডও বলা যেতে পারে ৷ আখরোটে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে ৷
পরিশেষে বলা ভালো, উপরোক্ত ঘরোয়া টোটকাগুলি কোনও চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের বিকল্প হতে পারেনা ৷ তাই ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী ৷