সুগার যে কভিড হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে এ তথ্য অনেকদিন আগে প্রমাণিত তাই এ ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে ডায়েট এ। চলুন দেখি নি কেমন হবে সে ডায়েট চার্ট।
ডায়াবেটিস রুগী এখন নেহাত কম না, বলতে গেলে এ সংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি গ্রামে গঞ্জে মফ:সল এরিয়া তেও এখন আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ ডায়বেটিস এ।
একটু বিচার বুদ্ধি দিয়ে দেখলে ধরা পড়বে যে, আমাদের জীবন যাপনের পদ্ধতিতে অনেক রকম পরিবর্তন এসেছে। যেমন – পায়ে হেঁটে চলা এখন অনেক কমে গেছে এবং অনেক বেশি ঝুঁকে গেছি এখন আমরা টেলিভিশন আর ফোনে। ছোটো বাচ্চা টা মাঠে, পার্কে, খেলাধুলার জন্য বিশেষ সময় পায় না ফলে তারা অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছে ভিডিও গেমস, অ্যান্ড্রয়েড এ এবং এরকম সময় বাচ্চারা পছন্দ করছে চিপস, কোল্ড ড্রিংস, কেক ইত্যাদি খেতে। বাঙালিরা অনেক বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট শরীরে নিতে থাকে প্রায় সারাদিন ধরে। বিষয় টা হলো বাঙালিদের খাদ্যের তালিকাটি এমন ভাবে প্রস্তুত থাকে। যার ফলে খাদ্য গ্রহণের পর অনেক টা শর্করা শরীরে চলে যায়।
সুগার যে কভিড হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে এ তথ্য অনেকদিন আগে প্রমাণিত তাই এ ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে ডায়েট এ। চলুন দেখি নি কেমন হবে সে ডায়েট চার্ট।
কম গ্লাইসেমিক সূচক সকালের জলখাবার :
কম গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার গুলো শরীরে গুকোজের মাত্রা বেশ অনেকটা পরিমাণে বাড়ায়। ফলে প্রাতরাশ টির মধ্যে যদি গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার হয় সে ক্ষেত্রে শরীরে শর্করার পরিমাণ অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকে। ওটসমিল ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য প্রাতরাশ হিসেবে খুবই উপকারী।
মেথির বীজঃ মেথির বীজে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইভার থাকে, যা হজম কমায় সাথে শরীরে শর্করা কেও বশে রাখে। শর্করার মাত্রা বাড়তে বাঁধা দেয় এই ফাইভার যুক্ত মেথির বীজ গুঁড়ো। মেথির বীজ রাতে জলে ২ চামচ ভিজিয়ে সকালে সেই জলও খাওয়া যায়, আবার মেথির বীজ গুঁড়ো করেও খেতে পারেন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী এটা নিতে পারেন।
আরও পড়ুন – এক টাকার বিনিময়ে ৪৫ হাজার টাকা, যদি আপনার কাছে থাকে এই নোট
গরমে জাম খানঃ জাম ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। ডায়বেটিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিনিগার খেলে শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আধগ্লাস জলে বেরি ভিনিগার মিশিয়ে খাওয়া খুব উপকারী ডায়বেটিস রোগীদের জন্য। প্রাতরাশের বা দুপুরের খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে এটা পান করা উচিত।
ফল ও শাকসবজিঃ বেশকিছু ফল ও শাকসবজি ভীষণই উপকারী ডায়বেটিস পেশেন্টদের জন্য। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সশা, টমেটো, আইসবার্গ, মূল, পেঁপে, তরমুজ, নাশপাতি, আপেল, কমলালেবু প্রভৃতি ডায়েট এ রাখতে হবে ডায়বেটিস রোগীদের।
এই ফল ও সবজি এড়িয়ে চলুন :
ডায়বেটিস পেশেন্টদের বিশেষ কিছু ফল ও সবজি না খাওয়াই ভালো, এগুলো এড়িয়ে না চললে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে। যেমন – আলু, মিষ্টি আলু, আম, কাঠাল, খেজুর, আঙুর, কলা, বিট এবং গাজর এগুলো খেলেও খুব সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। রান্নায় বেশি তেল মশলার আধিক্য না থাকাই বাঞ্ছনীয়। হালকা, কম মশলা যুক্ত খাবার গ্রহণ করাই ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী। সহজপাচ্য খাবার যা বদহজমের মাত্রা একেবারেই কমিয়ে দেয় এমন খাদ্য রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। মরশুমের ফল চলবে (১৫০ গ্রাম), ছোটো মাছ, মুরগি। দূরে থাকুন বাইরের খাবার থেকে। পারলে অবশ্যই মিষ্টি এড়িয়ে চলুন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমিয়ে ফেলতে হবে আপনার মিলের পরিমাণ। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার দুঘণ্টা আগেই সেরে ফেলুন আপনার ডিনার। ওজন বাড়তে দেওয়া ভীষণই ক্ষতিকারক। কারণ ওবে সিটি ও ডায়বেটিস হতে হাত ধরে চলে।
ভালো থাকুক ,সুস্থও থাকুন।ডায়বেটিস মুক্ত নিরোগ শরীর আপনার সম্পদ। তাকে রক্ষা করা আপনারই হাতে।