স্বাস্থ্যগত আর রূপ চর্চার বিভিন্ন বিষয়ে আমরা অধিকাংশ মানুষই সতেচন। কিন্ত কিডনি নিয়ে একেবারেই উদাসীন। ফলে প্রতিবছরই কিডনি রোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুর্বল কিডনিতে খুব সহজেই নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সময়ের সঙ্গে এই সমস্যাগুলোর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে থাকে দ্বিগুণ হারে। কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম কোনভাবেই করা যাবে না। এর পাশাপাশি খাদ্যাভাসেও রাখতে হবে কিডনির জন্য উপকারী উপাদান সমূহ।
লাল ক্যাপসিকাম-
লাল ক্যাপসিকামে থাকে খুবই স্বল্প মাত্রার পটাশিয়াম। এছাড়া থাকে শরীরের জন্য উপকারী ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপেন। যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পেঁয়াজ-
প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদানটি হলো পেঁয়াজ। এই খাদ্য উপাদানটি রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা পরোক্ষভাবে কিডনির উপর বাড়তি চাপ পড়া থেকে রক্ষা করে।
আপেল-
বলা হয় প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনন্য।
মাছ-
মাছকে বলা হয় নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ যা কিডনি, হার্ট এবং লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও কোলেস্টেরল কমাতে এর ভূমিকা অতুলনীয়।
জল-
শরীরের সার্বিক সুরক্ষায় জল অপরিহার্য একটি উপাদান। এটি শরীরের যেকোনো প্রত্যঙ্গের জন্যই উপকারী। জল ছাড়া কিডনির কার্যক্রম চলা বেশ কঠিন। কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে অন্তত তিন লিটার জল প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত পরিমান জল খেলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম সঠিক থাকে।