ঘরোয়া টোটকায় দূর হবে খুশকি

Khobordobor

খুশকি আমাদের কনফিডেন্সের `বারোটা` বাজিয়ে ছাড়ে। বিশেষ করে শীতকালে শুধুমাত্র খুশকির কারণে চুল খুলে রাখা বা ভালো পোশাক পড়ার ইচ্ছে একেবারে ত্যাগ করতে হয়। খুসকির সমস্যায় নাজেহাল হতে হয় বছরের যেকোনও সময়ে। অতিরিক্ত ঘাম, রোদের তাপ-এমনই নানা কারণে মাথায় ত্বকে খুশকির বাড়বাড়ন্ত হয়।
নানারকম দেশি-বিদেশি শ্যাম্পু, নানা ওষুধ ব্য়বহার করেও পুরোমাত্রায় খুশকি দূর করা যায় না। এবার ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করতে পারেন। হেঁশেলেই মিলবে এমন নানা উপকরণ, যা খুশকি তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল ও লেবু খুশকি দূর করতে খুব ভালো উপকার দেয়। মাথার ত্বকে আগে নারকেল তেল মালিশ করে রাখুন। মিনিট দশেক পরে লেবুর রস দিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে নিন। একদিন অন্তর করে টানা এটা ব্যবহার করলে খুশকি থেকে পরিত্রাণ মিলবে দ্রুত। সর্ষের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রিন টি খুশকি তাড়াতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া রুখে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করবে গ্রিন টি। একটি বাটিতে জল নিয়ে তার মধ্যে গ্রিন টি বা টি ব্যাগ দিয়ে রাখুন। বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর টি ব্যাগ তুলে ফেলুন। এবার ওই চা-মিশ্রিত জল মাথার ত্বকে মালিশ করতে হবে খুব ভাল করে। ভালমত মালিশের পরে অন্তত আধঘণ্টা রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে নিন।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করলে খুশকি কমে। তবে শুধু ভিনিগার সরাসরি ব্যবহার করা যাবে না। জলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। ৫০-৫০ অনুপাতে জল ও ভিনিগার মিশিয়ে সেই মিশ্রণ খুশকির জায়গায় লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে তারপরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এর পাশাপাশি প্রতিদিন চুল আঁচড়াতে হবে। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে খুশকি বেরিয়ে যায়। চুলে ধুলো-ময়লা লেগে থাকে না। তবে সমস্যা তীব্র আকার ধারন করলে
বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।