বিশ্বে বহু দশক ধরে এডসকে মারণঘাতী রোগ হিসেবে ধরা হয়, যেখানে আজীবন চিকিৎসা ও ওষুধসেবন ছিল বাধ্যতামূলক। তবে সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণায় দেখা গেছে—নতুন চিকিৎসায় আশার আলো: এডস থেকে মুক্ত ১০ জন রোগী, যারা টানা ১৮ মাস কোনও ওষুধ ছাড়াই সুস্থভাবে জীবনযাপন করছেন। এই আবিষ্কার বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নতুন করে আশাবাদী করেছে।
এডস থেকে মুক্ত ১০ জন রোগী—কীভাবে সম্ভব হলো এই সাফল্য ?
গবেষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রচলিত অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি)-র বদলে একটি বিশেষ ‘কম্বিনেশন থেরাপি’ প্রয়োগ করেছেন। এই থেরাপিতে ব্যবহৃত হয়েছে—
-
প্রতিষেধক
-
ইমিউন-অ্যাকটিভ ওষুধ
-
ব্রডলি নিউট্রালাইজ়িং অ্যান্টিবডি (bNAbs)
ঠিক কোন কোন ওষুধ বা অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে গবেষকেরা জানান, এই নির্দিষ্ট ডোজে ও পর্যায়ে দেওয়া চিকিৎসায় রোগীদের ভাইরাস কার্যত নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে।
ফলাফল?
১৮ মাস ধরে কোনও রোগীকে এআরটি গ্রহণ করতে হয়নি, এমনকি সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা রোগীদেরও বাড়তি থেরাপির প্রয়োজন হয়নি।
নতুন চিকিৎসায় আশার আলো: এডস থেকে মুক্ত ১০ জন রোগী—এডস চিকিৎসায় কি তবে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে?
এডস রোগীরা সাধারণত ধাপে ধাপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারান। ভাইরাসের আক্রমণ যেমন বাড়ে, তেমনই দেখা দেয়—
-
টিউবারকিউলোসিস (যক্ষ্মা)
-
ক্যানডিডা বা ক্রিপ্টোকক্কাসের মতো ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ
-
স্নায়ুঘটিত সমস্যা
-
বিশেষ ধরনের টিউমার
এআরটি থেরাপি এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয়নি।
কিন্তু নতুন কম্বিনেশন থেরাপির পরীক্ষামূলক সাফল্য প্রমাণ করছে—
সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করলে এডস রোগীদের ভাইরাসবৃদ্ধি দীর্ঘ সময়ের জন্য থামিয়ে রাখা সম্ভব।
গবেষকেরা মনে করছেন, বৃহৎ পরিসরে এই থেরাপি সফল হলে এডস নির্মূলের পথে মানবজাতি আরও একধাপ এগোবে।









