শীতের সন্ধ্যায় আড্ডা জমাতে মুখরোচক খাবারের বিকল্প নেই। কিন্তু এই সময় অনেকেই বাড়তি ক্যালোরির ভয়ে প্রিয় চাট খেতে দ্বিধায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ঠিক উপায়ে প্রস্তুত করলে চাটও হতে পারে স্বাস্থ্যকর। তাই আজকের নিউজ রিপোর্টে তুলে ধরা হলো শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস, যা মেনে চললে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দু’টোই বজায় থাকবে সহজেই।
শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস: সুস্বাদু চাট খেয়েও কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ওজন
শীত মানেই খিদে বাড়া, আড্ডা বাড়া, আর সঙ্গে লোভনীয় নানা চাট। কিন্তু তেলে ভাজা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কয়েকটি সহজ শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস মনে রাখলেই চাট হবে হালকা, পুষ্টিকর এবং অপরাধবোধহীন।
শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস অনুযায়ী ৩ ধরনের স্বাস্থ্যকর চাট
ক্রিস্পি ছোলা চাট — পেট ভরাবে, ওজন বাড়াবে না
কাবলি ছোলা প্রোটিনে ভরপুর। নুন দিয়ে সেদ্ধ ছোলা এয়ার-ফ্রায়ারে সামান্য তেলে মুচমুচে করে নিলে এটি হয়ে ওঠে দারুণ স্বাস্থ্যকর।
দই, চাটমশলা, পেঁয়াজ, শসা, কাঁচালঙ্কা দিয়ে বানানো মিশ্রণে এই ছোলা মিশিয়ে দিলে তৈরি হয় টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের লো-ক্যালরি চাট। শীতের আড্ডায় এটি দারুণ উপযোগী একটি শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস ভিত্তিক রেসিপি।
টিকিয়া-ঘুগনি চাট — কম তেলে দারুণ স্বাদ
সেদ্ধ মটর, আলু ও টমাটো দিয়ে বানানো এই ঘুগনি চাট শীতের প্রিয় খাবার।
আলু কম তেলে সেঁকে তৈরি করা টিকিয়ার উপর ঘুগনি দিয়ে, সঙ্গে পেঁয়াজ, গাজর, ধনেপাতা ও তেঁতুল ক্বাথ—এটি হয়ে ওঠে সুস্বাদু কিন্তু কম ক্যালোরির সংমিশ্রণ।
স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য এটি খুবই কার্যকর একটি শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস।
মুগের চাট — হালকা, পুষ্টিকর, ওজন কমাতে সহায়ক
সেদ্ধ বা অঙ্কুরিত মুগ হালকা ভাপিয়ে নিন। তারপর লেবুর রস, চাটমশলা ও সামান্য বাদাম মিশিয়ে তৈরি করুন পুষ্টিকর মুগ চাট।
পেঁয়াজ, টমাটো ও ধনেপাতা যোগ করলেই মিলবে স্বাদ ও পুষ্টির অনন্য মিশ্রণ।
শীতকালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুগের চাট ধরা হয় সবচেয়ে জনপ্রিয় শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপসগুলির একটি।
কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন?
-
অতিরিক্ত তেলে ভাজা চাট
-
বেশি চাটনি বা চিনি-গুড়
-
রিফাইন্ড ময়দার টিকিয়া বা কড়া ভাজা পাপড়
-
অতিরিক্ত লবণ বা ঝাল









