পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রহস্যজনক ও অবাক করা তথ্য

incredible facts of puri jaganath temple

পুরীর জগন্নাথ মন্দির চার-ধামের মধ্যে একটি। পুরানে বলা হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির পৃথিবীতে শ্রী কৃষ্ণের বৈকুণ্ঠধাম। ব্রহ্ম ও স্কন্দ পুরান থেকে জানা যায় শ্রী কৃষ্ণ পুরীধামে নীল মাধব রুপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভগবান জগন্নাথের রূপ এখানকার কপিলায় দেবতাদের মতো। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহিমা শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ। আজ আমরা পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে এমন কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য জানবো যা আপনাদের অবাক করে দেবে।

১। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ওপর প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথের পতাকা সব সময় হাওয়ার বিপরীত দিকে ওরে। এই রকমই মন্দিরে ওপর প্রতিষ্ঠিত সুদর্শন চত্রু, যেদিক দিয়ে দেখা হক না কেন মনে হবে চত্রুের মুখ আপনার দিকে আছে।

২। মন্দিরের প্রসাদ বানানোর জন্য চুলার ওপরে মাটির তৈরী সাতটি বড় বড় পাত্র রাখা হয়। আশ্চর্যজনক বিষয় এটায় যে সবচেয়ে ওপরের পাত্রের খাবার আগে হয় এবং তারপরে একে একে নিচের পাত্র গুলিতে। মন্দিরে প্রসাদ কখনো ভক্তদের জন্য কম পরে না। মন্দির যখন বন্ধ করা হয় তখনই প্রসাদ শেষ হয়ে যায়।

৩। মন্দিরের সিংহ দুয়ার থেকে যখন প্রবেশ করা হয় তখন সুমুদ্র থেকে ভেসে আসা জলের গর্জন শোনা যায় না, কিন্তু যখন মন্দির থেকে বেরিয়ে আসা হয় তখন সুমুদ্র থেকে ভেসে আসা জলের গর্জন শোনা যায়। সন্ধ্যা কালে এই অনুভূতি আরো স্পষ্ট বোঝা যায়।

৪। আমরা অনেক সময় দেখে থাকি অনেক মন্দিরে ওপর দিয়ে পাখিরা উড়ে যায়। কিন্তু পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ওপর দিয়ে কোন পাখি উড়ে যায় না। এমন কি কোন এরোপ্লেন উড়ে যায় না।

৫ । দিনের বেলা মন্দিরে মুখ্য শিখরের ছায়া পড়ে না। মন্দিরে ৪৫ ফুট শিখরে অবস্থিত মন্দিরের পতাকাটি এক পুজারী প্রতিদিন পরিবর্তন করেন। যদি কোনদিন না পাল্টানো হয় তবে মন্দির টি ১৮ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

৬ । সাধারণত দিনের বেলায় হাওয়া সুমুদ্র থেকে মাটির দিকে বয় আর রাতের বেলায় মাটির দিক থেকে সুমুদ্রের দিকে। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় এটায় যে পুরীধামে এর উল্টোটা হয়।

কলিযুগ কি ও কেমন মানুষের ব্যবহার কলিযুগে ?