বর্ষায় চুল পড়া বন্ধ করতে নিজের চুল কে চিনুন

hair loss causes and remedies - khobor dobor

আমাদের কে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে আমাদের স্কিন কি ধরণের ? এর উত্তর আমরা ছটপট দিয়ে দিতে পারি। কারণ নিজের ত্বককে আমরা হাতের তালুর মতো চিনি। কিন্তু চুলের কথা উঠলে বেশি সময় নিয়ে ভাবতে হবে ? সঠিক ভাবে নিজের চুল সম্বন্ধে অনেকের কোন ধারনাই নেই। চুল ওঠার কারণ রোধ করতে গেলে আগে আমাদের দেখতে হবে কি কি কারণে চুল উঠে যায় বা ঝরে পড়ে মাথা থেকে ?

গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ঋতুতে চুলের সমস্যা কমবেশি আমাদের ভাবায়। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত আর্দ্রতার জন্য চুলের গোড়া ঘেমে যায় চুলে দুর্গন্ধ চুল পড়া ইত্যাদি শুরু হয় আবার বর্ষা মানে ফাংগাল ইনফেকশনের বাড়বাড়ন্ত সেসবের প্রভাবে চুল পড়া বাড়ে। আবার শীতের শুকনো হওয়ায় খুশকির সমস্যা হয় তা থেকে চুল পড়া বেড়ে যায় অর্থাৎ প্রতি ঋতুতেই চুলপড়া কমন ফ্যাক্টর ঋতু পরিবর্তনের সময় চুল অতিরিক্ত ঝরে। সঙ্গে রয়েছে পরিবেশের দূষণজনিত প্রভাব।

আজকাল বহু মানুষের অল্প বয়সে চুল পড়ে মাথায় টাক হয়ে যাচ্ছে কিংবা চুল মাত্রা অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যাচ্ছে। চুল তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও জৌলুস হারাচ্ছে
তবে এই বাহ্যিক কারণ গুলির সঙ্গে বেশ কিছু আভ্যন্তরীণ মূলত শারীরিক কারণ রয়েছে— যেগুলি চুল পড়ার জন্য ভীষণ ভাবে দায়ী, চিকিৎসকরা অত্যন্ত আভ্যন্তরীণ বা শারীরিক কারন গুলোর উপর বেশি জোর দেয়। ডাক্তারি মতে মূলত তিন বা চারটি কারণে কোনো ব্যক্তির চুল অতিরিক্ত পড়তে পারে অথবা মাথায় টাকের সমস্যা হতে পারে —

আরও পড়ুন – স্বপ্নে এগুলো দেখলে সামনে খারাপ সময় আসতে চলেছে সাবধান হন

১। জিনগত কারণ- টাক পড়ার ইতিহাস থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির 35% সম্ভাবনা থাকে মাথার চুল ঝরে পড়ে যাওয়ার বা টাক পড়ার। আবার কারো যদি পিতৃ-মাতৃ উভয় দিকেই চুলপড়া বা টাকের সমস্যা থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির প্রায় 75% সম্ভাবনা থাকে টাক পড়ে যাওয়ার। মহিলা বা পুরুষের ক্ষেত্রে একই রকম হয়ে থাকে।

২। দ্বিতীয় কারণ হরমোন সম্বন্ধীয় – পুরুষের টেস্টোস্টেরন ও মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে চুল পড়া সমস্যা বাড়ে। এক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের ক্রিয়ার পার্থক্য ঘটে তার ফলে চুল পড়া সমস্যা বাড়তে থাকে।

৩। পুষ্টির অভাবে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে যেমন ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, আয়রনের অভাব জনিত কারণে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে।

৪। জীবনযাপনের ধরনের কারণে চুল পড়ে টাক হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত স্ট্রেস, ব্লাড প্রেসার সহ নানা কারণের জন্য দায়ী। আবার অযত্নের কারণে চুল অতিরিক্ত পড়তে পারে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষত যারা অতিরিক্ত হেয়ার ড্রায়ার, পেইন্টিং, কালার ইত্যাদি করান তাদের চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বাড়ে।

৫। ত্বকের সংক্রমণ অর্থাৎ খুশকি, সোরিয়াসিস সহ একাধিক চর্ম রোগে চুল অতিরিক্ত পড়ে টাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উপরিউক্ত এই কারণগুলির কারণেই মাথার চুল ঝরে পড়তে থাকে এবং অবশেষে টাক পড়ার মতো পরিণতি ঘটে। সুতরাং নিজের চুলের সমস্যা নিজেই খুঁজে বার করুন এবং প্রতিটি সমস্যার সমাধান করে নিজের কেশকে অকালে ঝরে যাওয়া থেকে রোধ করুন। আপনার কেশ হোক আপনার সৌন্দর্য্যের একটি বিশেষ দিক।

follow khobor dobor on google news