ঘটক, মেট্রিমনিয়াল সাইট বা পরিচিত কোনো কোনো কমন ফ্রেন্ড এর মাধ্যমে বিয়ে! যোগাযোগের মধ্যস্থতা যাই হোক না কেনো পাত্র পাত্রী সাবাকি দেখাশোনা করে বিয়ে করাটা তাদের কাছে ব্যাক ডেটেড। প্রেম করলে তো ঝামেলা নেই বলেই চলে। প্রায় রোজই ডেটিং চলে। একে অপরকে জেনে নেওয়া যায় সহজেই। তবে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ব্যাপারে ও এখন সব ছেলে মেয়েরা তাদের পার্সোনাল ডেটিং টা চাইছে। নিজেদের আলাপচারিতার বিষয়টা তারাই বুঝে নিতে বেশি আগ্রহী।
রুচিরার সন্মন্ধ এসেছিল বিদেশ থেকে। ছেলে ডাক্তার। কলকাতা তে পরিবার থাকলেও পাত্র বিদেশেই সেটেল্ড। মেট্রিমনি সাইট থেকে রুচিরার প্রোফাইল দেখে ছেলের বাড়ির লোকজন উৎসাহী হয়ে ফোন করে তারপরই ওদের মানে রুচিরা আর “অভিযানের” মধ্যে ভার্টুয়ালি কথা হতে থাকে।কিন্তু ঠিকঠাক লাগলেও কিছুতেই প্রেম ব্যাপার টা আসেনি ওদের মধ্যে। বন্ধুত্ব টাও খুবই ফরমাল। পাশ কাটিয়ে ছিল রুচিরা। তারপর আবার একটা যোগাযোগ। রুচিরা বাড়িতে আগেই বলে দিয়েছিল যে তার জন্য আনা যে কোনো বিয়ের যোগাযোগ এ সে প্রথম মিট করবে পাত্রর সঙ্গে। কারণ সেজেগুজে প্রতিমার মতো বসতে পারবে না সে অজানা অচেনা লোকজনের সামনে। তার মিট করেছিল কলেজ স্ট্রিট এ। কয়েক টা বই কেনার ছিল “সহস্র” র। অবশ্য বই কিনেছিল ওরা দুজনেই। তার পর কফি হাউস এর কোলাহল এড়িয়ে কলেজ স্কোয়ার এর একটি ফাঁকা বেঞ্চে দুই প্রান্তে দুজনে বসে ছিল সেদিন…….. সেখান থেকে আজ ওরা বসে আছে বিবাহ বাসরের পিরীতে।
গোয়া তে হানিমুন এ গিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ চেপে রাখা প্রশ্ন করে বসে রুচিরা কে সহস্র। যদিও এতোদিন চেপে রেখেছিল এরকম একটা দিনে এসেই করবে বলে। সেদিন সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে জিজ্ঞাসা করেছিলো সহস্র – কেনো রুচিরা এতো পুরুষের মধ্যে তাকেই পছন্দ করলো??
শুনেই মিষ্টি হাসি মাখা মুখে রুচিরা তার দিকে তাকালো। আজও অধরা পুরুষ নারীর হাসির রহস্য ভেদ করতে। কোন হাসির কি অর্থ সেটা বুঝে উঠতে এখনো অপারক তারা।
ময়ূরের পালক আনবে অর্থ, সুখ ও সমৃদ্ধি
শুধু কথাতে নয় ধর্ম শাস্ত্র বলে পুরুষ নারীর থেকে শ্রেষ্ঠ। মনে এই অহং টুকু থাকলেও নারীর মন যুগিয়ে চলে তারা। পুরুষ মাত্রই নারীকে যথেষ্ট সমঝে বুঝে চলে। যদিও তারা ভালই জানে নারীর মন তুষ্ট করা অতো সহজ নয়। অনেক পুরুষই কম বেশী আক্ষেপ করে নারীর মন পাওয়া নাকি বেশ কঠিন। তবে মন বুঝতে অসুবিধা হলেও তাদের কয়েকটি উপায় জানা থাকলে তাদের পছন্দের নাগাল পেতে পারেন চট করেই এবং কি দেখে তারা পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয় এটা জানা থাকলে মন পেতে খুব একটা কসরত করতে হবে না। কি সেই কারণ গুলি যা নারীকে মজিয়ে রাখে পুরুষে ??
পুরুষের শারীরিক গঠন ও তাদের ভাবাবেগ অনেক বেশি গুরুত্ব পায় নারীদের কাছে। সম্প্রতি একটি গবেষণা তে উঠে এসেছে পুরুষ নারীর শরীর কামনা করলেও নারী কিন্তু পুরুষের মন প্রত্যাশা করে।
শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, পার্সোনালিটি মেনটেন করা পুরুষ মানুষ মহিলাদের খবুই পছন্দের। সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় পুরুষের সেন্স ওফ হিউমার। দায়িত্ববান, স্যাপোর্টিভ, পুরুষ মহিলাদের নজর কাড়ে। আজকের প্রজন্ম অনেক বেশি খোলামেলা। তাই মেয়েরা চায় তাদের জীবনসঙ্গী হবে বেশ খোলা মনের ফুরফুরে। রিজার্ভ পুরুষকে এড়িয়ে চলে নারীরা।
টানা চার দিন বন্দি ভিকি কৌশল
প্রথম প্রথম শরীরী বিষয়ে বা শারীরিক আলোচনা একদম না পাসান্দ মহিলাদের।পছন্দের পুরুষের কাছে নিজের প্রসংশা শুনতে ভালো বাসে তবে অচেনা পুরুষের নারী শরীরের প্রতি হাংলামি তারা বরদাস্ত করতে পারে না।তবে পছন্দের পুরুষ হয়ে উঠলে শরীরী প্রশংসা বা অকৃষ্ঠতা বেশ উপভোগ করে নারীরা।
সুন্দরের জয় সর্বত্র। সুন্দর মাত্রই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পুরুষ যেমন নারীর সৌন্দর্যতে মুগ্ধ হয় তেমনি নারীরা তার স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড সুদর্শন, ডেসিং হবে সেটাই কল্পনা করে। তাই ফিটফাট, গোছানো, মার্জিত পুরুষ মহিলাদের পছন্দের হয় সবসময়। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, উপযুক্ত, বুদ্ধিদীপ্ত পুরুষ নারীদের মনের মানুষ হতে পারে খুব সহজেই। তবে নারীদের কাছে পুরুষরা হবে বেশ শিশু সুলভ, নিজেকে ধরা দেবে তার স্ত্রী বা প্রেমিকার কাছে এরকম পুরুষ মহিলারা কামনা করে।
সন্মান প্রদর্শন করতে পারা পুরুষ সব বয়সী মহিলাদের পছন্দের তালিকাতে প্রথম স্থানে থাকে।
বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে এটা বেশ লক্ষ করা যায় যে তারা এখন পুরুষের ড্রেস, চুলের কাটিং, ফ্যাশন, রুচিবোধ, পারফিউম, স্টাইল, হবি, শপিং সবটাই মহিলাদের বেশ নজরে থাকে। তাই রুচিশীলতার অভাব হলেই হারাতে পারে নারীর মন পাওয়ার আশঙ্কা। মেয়েদের শিল্পকলা প্রতি আকর্ষণ অনেক বেশী তাই পুরুষের শিল্পীপ্রেমী মন মহিলাদের আকর্ষণের বিষয়।
তবে মেয়েদের নিজস্ব কিছু চাহিদা থাকে সেটা বুঝতে ছেলেদের অভিজ্ঞ হতে হবে বৈকি। এক্ষেত্রে কোনো উপদেশ খাটবে না।