টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় ভারতের। প্রথম ব্যাট করে ১১৯ রান তুলেছিল ভারত। সহজ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচ জিততে পারেনি। ভারতীয় বোলারদের দাপটে হেরে গেল পাকিস্তান। ১১৩ রানে শেষ হয়ে গেল তাদের ইনিংস।
এই ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিং ব্রিগেডের উপরে কার্যত রোলার চালিয়ে দিল পাকিস্তানের বোলিং ডিপার্টমেন্ট। বৃষ্টির কারণে উইকেটে এমনিই আর্দ্রতা ছিল। আর সেটাকেই কাজে লাগালেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। আর বাবরের এই সিদ্ধান্ত যে সঠিক, সেই সিলমোহর লাগালেন দলের পেসাররা। তিনটে করে উইকেট শিকার করলেন নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ। জোড়া উইকেট শিকার করলেন মহম্মদ আমির। এছাড়া একটি উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর পাক পেসারদের এই দাপটে টিম ইন্ডিয়া মাত্র ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ভারতকে অল্প রানে আটকে রাখার নেপথ্যে অবশ্যই পাকিস্তানের পেসারেরা। তাঁরাই ভারতের ৯ উইকেট তোলেন। একটি রান আউট হয়। নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ তিনটি করে উইকেট নেন। দু’টি উইকেট মহম্মদ আমিরের। একটি উইকেট শাহিন শাহ আফ্রিদির। তাঁদের চার জনের সুইং এবং পেস সামলাতে সমস্যা পড়ে যায় ভারত।
প্রসঙ্গত, টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এটাই টিম ইন্ডিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর। ইতিপূর্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ২০১২ সালে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করেছিল। রবিবারের ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হাতে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ৭৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। এরপর মাত্র ৭ রানের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দল চার উইকেট হারিয়ে ফেলে। আর সেইসঙ্গে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট। এরপর রোহিতের দল আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।
এরপর ব্যাট করতে নামে বাবর আজমের দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন টোটাল টিম ইন্ডিয়া যে এভাবে ডিফেন্ড করতে পারবে, সেটা বোধহয় কেউ আঁচ করতে পারেননি। এই ম্যাচ হারার পর শাহিনের কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নাসিম শাহ। এই ম্যাচে দুটো দলই যে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিল, তা বলা যেতেই পারে। কিন্তু, পিচের ‘খেলা’ বুঝতে কিছুটা হলেও ব্যর্থ হলেন বাবর-রিজওয়ানরা। এই ম্যাচে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বল করলেন জসপ্রীত বুমরাহ। তিনি ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিনটে উইকেট শিকার করেছেন। দলের বাকি পেসাররাও তাঁকে সঙ্গত দিলেন। হার্দিক শেষ ২ ওভারে ৬ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করলেন। অবশেষে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে পারে।
এরপর পিচ নিয়ে মুখ খোলেন গ্যারি কার্স্টেন। তিনি বলেন, ‘পিচ কঠিন ছিল না। লো বাউন্স এবং স্লো আউটফিল্ড সবসময় রানটাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রেখেছে। ১২০ রানের টার্গেট এই পিচে পূরণ করা যেত।’ অর্থাৎ, তিনি সরাসরি কিছু না বললেও দলের পারফরম্যান্সে যে হতাশ সেটা তিনি বুঝিয়ে দিলেন। এই কম রানের টার্গেট যে তাড়া করা যেত সেটা তিনি জানিয়ে দিলেন। অর্থাৎ, কোচও প্লেয়ারদের কাঠগড়ায় তুললেন এই হারের জন্য।