অনেক মানুষ আছেন যারা কাকে ভরে ঘুম থেকে ওঠেন। কাক ভোর হলো চারটের সময়।কাক, ভোরের আলো ক্ষীণ দেখতে পেলেই ডাকতে শুরু করে। সবার আগে কাক জেগে ওঠে তাই চলতি কোথায় ঐসময় টাই কাকভোর।
অনেকের ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা একটা অভ্যাস, যাদের মর্নিং স্কুল যায় তাদেরতো ভোর বেলা উঠতেই হয়, যারা অনেক দূরে অফিস যায়, তারাও ভোরবেলা উঠে পড়েন। এমনও দেখা গেছে যে স্কুল লাইফ শেষ হয়ে জীবনে অনেকটা পথ এগিয়ে গেছেন বা অফিস যাত্রীরা রিটায়ার হয়ে গেছেন তবুও তারা ভোরবেলা ওঠা অভ্যাসটা রয়ে গেছে। অভ্যাস না বলে এটাকে সু-অভ্যাস বলা ভালো। কেউ কেউ আবার ভোরবেলা উঠে দৌড়ে এসে নিজের মধ্যেই সারাদিনের এনার্জি ভরে নেন। যে কোন মানুষ যেভাবেই ভোরবেলা কে কাজে লাগান না কেন সবটাই তাদের জীবনকে মূল স্রোতের দিকে নিয়ে।
অনেকেই এবার ভোরবেলা উঠতে পারেন না। কারণ অনেকেই মনে করেন ভোরবেলায় ঘুমটা অনেক বেশি গাড়ো হয়। ইচ্ছা থাকা স্বতেও কেউ কেউ আবার ভোরবেলায় উঠতে সক্ষম হন না। তাদের সমস্যার খুব সহজ সমাধান হলো….. ভোরবেলা অর্থাৎ ৪ টেতে ঘুম থেকে ওঠার জন্য কোন পরিশ্রম করতে হবে না, শুধু এইটুকুই খেয়াল রাখতে হবে যে ঘুমোতে যাবার সময় হচ্ছে ঠিক রাত দশটা। আর এটা মাত্র তিন চারদিন করলেই কেউ আপনাকে ঠিক তিন চারদিন পর থেকে কোনো অজানা শক্তি আর চারটের পর বিছানায় শুয়ে থাকতে দেবেনা।
আরও পড়ুন – কালো প্যাচ হোক বা পুরানো ট্যান খুব সহজে দূর হবে ঘরোয়া এই প্যাকে
ছোটবেলায় পরীক্ষা দেওয়ার আগে যেমন বা বাবা-মাকে বলে ঘুমাতেন যে,আমাকে ভোর চারটের সময় তুলে দিও আমার পরীক্ষার প্রিপারেশন টা একবার চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। ঠিক এই ভাবেই পরম আমাকে একটু জানিয়ে ঘুমাতে যান যে আমাকে ভোর চারটের সময় তুলে দিও আমার, আমায় তোমার ধ্যানে বসতে হবে। এবার শুধু তৈরি থাকুন চমৎকার দেখার জন্য।
অনেকেই বলবেন ধ্যান করার জন্য প্রচুর সময় আছে কেন ভোর চারটে কেই বেছে নেব? কেন ভোরবেলায় শুধুমাত্র মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য আদর্শ সময়?
আমাদের জীবনযাত্রায় একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, যদি আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন জায়গায় পৌঁছানোর থাকে, অনেকেই বলেন তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যা সকাল সকাল বেরিয়ে যা দেখবি তাড়াতাড়ি ঠিকঠাক সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবি। আবার আমরা এটাও জানি হেভি কিছু ডাউনলোড করতে ভোরবেলা একটা স্মুথ সময় এই সময় ইন্টারনেট স্পিড খুব হাই থাকে তাই চট করেই আমরা আমাদের ডাটা স্পিড কে কাজে লাগিয়ে হেভিওয়েট কিছু ডাউনলোড করে নিতে পারি।
আরো পড়ুন – এই একটি সংখ্যা ব্যবসায় শ্রীবৃদ্ধি আনবে
এই সবকিছুর মধ্যে ভোরবেলা এই সবকিছুর মধ্যেই সকালবেলা জুড়ে আছে। ঠিক তেমনি ভোর বেলার বাতাবরণ এমনই সুন্দর অবস্থায় থাকে যে সেই সময় আমাদের মনের ইচ্ছা গুলো সরাসরি আমরা ঈশ্বরকে পৌঁছে দিতে পারি খুব সহজে। দিন শুরু মানে অনেক ঘটনা পর পর ঘটবে শুতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেইগুলো মনে ছাপ ফেলতে ফেলতে যাবে। কিন্তু ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার মনটা পুরো ব্ল্যান্ক।
ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার কানেকশন জুড়ে খুব সহজেই তৈরি হয়ে যায়। আপনার মনের ইচ্ছা বাসনা কে ঈশ্বরের পায় প্রদান করুন। পরমাত্মা ওই সময় তৈরি থাকেন আপনার মনের ইচ্ছা গুলোকে নিজের সঙ্গে জুড়ে নিতে। তাই নিজের মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য, পরমাত্মার কাজ পর্যন্ত আপনার মনের কামনা পৌঁছে দেয়ার জন্য নিস্তব্ধ ভোরবেলা নিস্তব্ধ চারটের সময় হল উপযুক্ত সময়। যদিও ভোর তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত হলো ব্রহ্ম মুহূর্ত। আপনি নিজের জীবনের এই দু’ঘণ্টা সম্পূর্ণ পরাত্মার কাছে ধ্যান এর মাধ্যমে নিজেকে পৌঁছে দিন। জানিয়ে দিন নিজের মনের সুপ্ত ইচ্ছা। নিশ্চিত রূপে আপনি ঈশ্বর অর্থাৎ পরমাত্মার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবেন। পূর্ণ হবে আপনার মনের ইচ্ছা।

- আমতা গ্ৰামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রেন্সিপ্যাল সেক্রেটারি
- আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্ক প্রকাশঃ ইতিহাস গড়লেন সিরাজ, বড় লাফ কোহলির
- পাহাড়ের কোলে ছবির মতো ছোট্ট গ্রাম লাচুং