Kojagori Lokkhi Pujo লক্ষী পুজায় ভুলেও এগুলো করবেনা ও মায়ের কৃপা পাওয়ার টোটকা

Kojagori Lokkhi Pujo rituals timing

Kojagori Lokkhi Pujo Timing & Rituals: লক্ষী দেবী ধনদেবী, শ্রীবৃদ্ধি ও সমবৃদ্ধির দেবী। লক্ষী দেবী রজগুনের অধিকারী।

চঞ্চলা লক্ষী দেবীকে অধিষ্ঠান করাতে কয়েকটি কাজ একেবারেই করা যাবে না

  • প্রথমে নিজের বাসস্থান, গৃহ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। পরিপাটি, পরিষ্কার স্থান দেবীর খুবই প্ৰিয়। তার সর্বত্র সুন্দর করে রাখুন।
  • লক্ষীদেবী শান্ত, সুন্দর, মিষ্টভাষী। দেবী কোনো প্রকার উচ্চস্বর, উঁচু শব্দ, চিৎকার, আওয়াজ, এমনকি কাঁসর, ঘন্টার আওয়াজ সহ্য করতে পারেন না। তাই এগুলি করা থেকে নিজেকে সংযত রাখুন।
  • দেবী কে ভোগে, প্রসাদের, বা পানীয় পাত্রে তুলসী পত্র দেবেন না।
  • লক্ষী পুজোয় লোহার বাসন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ লোহা অলক্ষী কে অর্পণ করা হয়। তাই লক্ষী দেবীর পুজোয় লোহার বাসন সম্পূর্ণ বর্জিত। স্টাইলেন বাসন ও মার লক্ষীর পুজোয় দেওয়া যায় না। কাঁসা ও পিতলের বাসনে মা এর ভোগ নিবেদন করুন।
  • লক্ষী পুজোর দিন কাউকে ঋণ দেবেন না।
  • কালো বস্ত্র পড়বেন না আর কালো কাপড়ের ওপর দেবীকে অধিষ্ঠান করাবেন না।
  • লক্ষীদেবী (Kojagori Lokkhi Pujo) ভীষণই অল্প তে সন্তুষ্ট হন। তবে লক্ষী পুজোর দিন লক্ষী বিসর্জন দেবেন না, এবং পূর্ণিমা চলাকালীন দেবীকে ঘর থেকে বার করবেন না।
  • লক্ষী পুজোয় সাদা ফুল ব্যাবহার করবেন না। দেবী রজগুন সম্পন্ন ও নারায়ণের স্ত্রী। তাই দেবীর সাদা ফুল একে বারে অপছন্দ। পদ্ম এর ওপর অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে পডফো দিয়ে পুজো করুন। মা সন্তুষ্ট হবেন।এছাড়া নীল অপরাজিতা দিতে পারেন তবে মনে রাখবেন অপরাজিতা মা লক্ষীর মাথায় দেবেন। আর কোনোভাবে সমগ্র মা লক্ষীর পূজায় তুলসি দেবেন না।
  • ধুপ, ঘি এর প্রদীপ সব কিছু মা এর ডান দিকে দিকে রাখবেন না ।বাম দিকে রাখুন ধুপ দ্বীপ।
  • আল্পনা মার লক্ষী পুজোর একটি বিশেষ অঙ্গ। আল্পনা দিয়ে মায়ের পদ চিহ্ন আঁকার সময় ঠিক তার পাশে পাশে সিঁদুরের টাইপ দিতে ভুলবেন না।
  • মা লক্ষীকে লাল বা গোলাপি কাপড়ের ওপর রাখুন। উত্তর পূর্ব বা পূর্ব দিক করে মায়ের আসন প্রতিষ্ঠা করুন।
  • খাবারের অপব্যাবহার করবেন না এবং ভক্তি ভরে মায়ের আরাধনা করুন একমনে। ও পুজো শেষে পাঁচালি পাঠ করুন ও মা লক্ষীর আশীর্বাদ পেতে তার কাছে করজোড়ে প্রাথনা করুন।

Kojagori Lokkhi Pujo Rituals: কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন কি কি করবেন এবং কি কি করবেন না

১। কোজাগরী কথার অর্থ হলো “কে জাগরে ” — লক্ষী পুজোর দিন ষোলোকলা পূর্ণচন্দ্র দর্শন করুন পরিবারের সকলে ও রাত্রি জেগে কাটান মা লক্ষীর আশীর্বাদ পেতে। শরৎ পূর্ণিমায় চন্দ্র থেকেও অমৃত ঝরে, সেই অমৃতের স্বাদ পেতে গোলাকার পূর্ণ চন্দ্র দর্শন করুন। ও মা লক্ষীর আরাধনা করুন।

২। পরিষ্কার পরিছন্ন গৃহে মার লক্ষীর আগমন ঘটে তাই সমস্ত কিছু সুন্দর করে রাখুন। এটা মা লক্ষী সন্তুষ্ট হয়ে অধিষ্ঠান করবে আপনার গৃহে।

৩। স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার অশান্তি কাটাতে ছাদে গিয়ে পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করা চাঁদ দেখুন ও চন্দ্রদেবের কাছে প্রাথনা করুন শান্তি পাবেন।

৪। নীরোগ জীবন পেতে মার লক্ষীর আশীর্বাদ প্রাপ্ত চন্দ্রদেবের কাছে নিরাময় প্রাথনা করুন। মার লক্ষী সদয় হবেন।

৫। লক্ষী পুজোর দিন রাতে যে কোনো কিছুর শুভরম্ভ করুন। বলা হয় “কে জাগরীর” রাতে আরাম্ভ করা যে কোনো কিছুই যশ প্রাপ্ত হয়।

৬। ছোট্ট বাচ্ছার অতিরিক্ত চঞ্চলতা কমাতে কায়মনোবাক্য হয়ে চন্দ্র দেবের নিকট প্রাথনা জানান। উপকৃত হবেন।

৭। ব্যবসা, চাকরির , সমৃদ্ধি, ও শ্রী বৃদ্ধির জন্য চন্দ্র দর্শন করুন, অর্থনৈতিক বিষন্নতা কাটবে।

৮। লক্ষী পুজোর রাতে চাঁদ পুত্ন অবস্থায় থাকে। আর চন্দ্র মনের কারক। মনের সাথে কানেক্টেড। নিজের মনের কথা জানান চন্দ্র কে। উপকার অবশ্যই পাবেন।

৯। লক্ষী পুজোয় দিন পূর্ণিমা শুরু থেকে শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত মার লক্ষীর আরাধনা করা যায়।
তবে ২০২৩ এ মা লক্ষীর পূজাচনার সঠিক সময় হলো বিকাল ৫.৩০ থেকে ৭.৩০ পযন্ত। Kojagori laxmi puja timing.

১০।  লক্ষী পুজোর দিন একটি খুব সাধারণ অথচ বিশেষ টোটকা করলে মার লক্ষী ও চন্দ্রদেবের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
একটি কানা উঁচু থালায় একটি মাটির ঘটে জল, চিনি, কাঁচা দুধ পূর্ণ করে রাখুন, ঠিক তার পাশেই রাখুন অখণ্ডিত আতপ চালা, তার পাশে একটি ঘি এর প্রদীপ জ্বালান এবং তার মধ্যে একটা এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে দিন, ঠিক তার পাশে সাদা মিস্টি রাখুন পরমান্ন হলে খুবই ভালো হয়, আর য়ার পাশে এলটি লাল কাপড়ের ওপর রাখুন রুপোর কয়েন, সামর্থ না হলে একটি কাঁচা টাকা রাখুন। এবারে সন্ধেবেলা পূর্ণিমা চলাকালীন চলে যান ছাদে। ওকশনে প্রথমে চন্দ্র দেবকে প্রণাম জানান তারপর একে একে মাটির পাত্রের জল দুধ চিনি মেশানো মিশ্রনতো কয়েকফোঁটা আঙুলের সাহায্যে চাঁদের উদ্যেশে ছিটিয়ে দিন, এবং ঘিএর প্রদীপ দিয়ে বরণ করুন, তৎপর মিস্টিটা চন্দ্র দেবেকে উদেশ্য করে কিছুক্ষন ধরে থাকুন এবং রুপো বা কাঁচা টাকাটা চন্দ্র দেবের দিকে ধরুন, সবশেষে পুরো থালাটি নিয়ে চন্দ্রদেবকে আরতি করুন। এই প্রক্রিয়াটি করলে মা লক্ষী ও চন্দ্র দেব খুবই সন্তুষ্ট হবেন ও তাদের আশীর্বাদ ঝরে পড়বে আপনার ওপর।

follow khobor dobor on google news
Follow Us on Google News

আরও পড়ুন –