মা কালীর আবির্ভাব কেন হল ? পুরাণের গল্প

history-and-mythology-story-of-kali-pujo মা কালীর আবির্ভাব পৌরাণিক গল্প

মা কালীর আবির্ভাব কেন হল? পুরাণের গল্প জেনে নিন কালী পুজোর মাহাত্ব।

[ez-toc]

দশ মহাবিদ্যার সর্বপ্রথম দেবী হলেন মা কালী। তিনি শক্তিরূপী আদ্যা শক্তি। কাল শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ হল কালি ও কাল শব্দের অর্থ হলো সময়, এবং মৃত্যু। তবে দেবীকালী কথার অর্থ হল সময়ের থেকে উচ্চতর। কথায় বলে কালকে বহন  বা ধারণ করেন যে তিনি কালি। কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যা তে মা কালী কে শক্তিরূপে পূজা করা হয়। কালীর পূজার অর্থ হচ্ছে অশুভ শক্তি ধ্বংস করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা।

মা কালীর আবির্ভাব নিয়ে পুরাণের গল্প

কালীকে সময় নির্ধারক বা অনন্ত সময় বলা হয়ে থাকে। একসময় অসুরদের অত্যাচারে স্বর্গরাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে, এবং দেবতাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা বিপন্ন হয়ে পড়ে কারণ ব্রহ্মার বরে সর্বশক্তি পূর্ণ হয়ে ওঠে এক রাক্ষস অসুর যার নাম রক্তবীজ।

রক্তবীজের এক ফোঁটা রক্ত ভূমিতে পড়লেই তা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে এক হাজার রাক্ষস। দেবতাদের প্রাণ রক্ষায় স্বয়ং অবির্ভুত  হন দেবী দুর্গা। দেবী দুর্গা অসুরদের সাথে যুদ্ধ করে ধ্বংস করে ফেলেন এক বিশাল অসুর বাহিনীকে তবে রক্তবীজ ব্রহ্মার আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে ক্ষত জায়গা থেকে এক ফোঁটা মাটিতে ঝরে পড়া রক্তের মাধ্যমে সৃষ্টি করতে থাকে হাজার হাজার অসুর।

আরও পড়ুন – ধনতেরাস, কালি পুজো অমাবস্যা, ভাইফোঁটার সঠিক সময় কখন

এমতো অবস্থায় দেবী দুর্গা অসুর রক্তবীজ কে ধ্বংস করতে নিজের দুই ভুরুর মাঝখান থেকে সৃষ্টি করেন চন্ডাল যোগিনী কালি কে। মা কালীর কৃষ্ণবর্ণ ভয়াবহ রূপ মৃত্যুনির্দেশিকা নিয়ে জারি হন রক্তবীজের সামনে। তিনি তার অস্ত্রের সাহায্যে অসুরদের নিধন করেন ও রক্তবীজকে হাতের সাহায্যে মহাশূন্যে তুলে তার দেহের সব রক্ত পান করতে থাকেন দেবী কালী।

রক্তবীজের  শরীর থেকে সমস্ত রক্ত পান করার পর অসুর রক্ত বীজকে শূন্যে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি এবং তারপর শুরু হয় কালী নৃত্য। যারা সৃষ্টির লয় নষ্ট করে দিতে শুরু করেছিল। অসুরদের মুণ্ড দিয়ে মালা করে তিনি প্রলয় নৃত্য করতে থাকেন।  রক্ত পান করা লাল টকটকে জিহবা নগ্নরূপী মুন্ডমালা পরিহিতা দেবীর উন্মাদ নৃত্য সমগ্র সৃষ্টি কাঁপিয়ে তুলেছিল।

তখন দেবতারা মহাদেবের শরণাপন্ন হন কোন উপায় না পেয়ে। মহাকালির তাণ্ডব নৃত্য থেকে জগত সংসার কে বাঁচাতে শিব নিজে শায়িত হন ভূমিতে। দেবী উন্মাদ নৃত্য করতে করতে মহাদেবের শরীরের ওপর নিজের পা রেখে ফেলেন ও লজ্জা বসত দেবীর রক্তমাখা জিভ বেরিয়ে পড়ে এবং তখনই তিনি ভয়াবহ নৃত্য থেকে বিরত হন।

follow khobor dobor on google news
Follow Us on Google News

আরও পড়ুন –